shono
Advertisement

Breaking News

তুচ্ছ মৃত্যুভয়! তালিবানি ফতোয়া উড়িয়ে গোপনেই ক্লাস চালু আফগান মেয়েদের

জেহাদিদের দৌরাত্ম্যে আফগানিস্তানে নেমে এসছে অশিক্ষার অন্ধকার।
Posted: 04:24 PM Oct 29, 2021Updated: 05:08 PM Oct 29, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে তালিবান (Taliban)। জেহাদিদের দৌরাত্ম্যে আফগানিস্তানে নেমে এসছে অশিক্ষার অন্ধকার। কিন্তু শত প্রতিবন্ধকতা সত্বেও হার মানতে নারাজ কাবুলিওয়ালর দেশের মেয়ের। গোপনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তালিবানকে পাশ কাটিয়ে আফগানবাসীকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা আমেরিকার]

গত আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান। প্রায় দুই দশক ধরে গণতন্ত্রের খোলা হওয়ার পর ফের আফগানভূম ঢেকে গিয়েছে মৌলবাদের কালো মেঘে। আর আশঙ্কা সত্যি করে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মেয়েদের পড়াশোনা করলেই কঠিন শাস্তির বিধান দিয়েছে তালিবান। স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেহাদিরা। কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর নেমে এসেছে খাঁড়া। এহেন বিপদের মুখেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘Learn Afghanistan’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। চলতি মাসে ১২ বছরের বেশি ১০০জন মেয়ের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে তারা। অঙ্ক, বিজ্ঞান-সহ একাধিক বিষয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের নাম গোপন রাখা হয়েছে।

ইন্টারনেটকে হাতিয়ার করে হেরাতের বাসিন্দা জয়নাব মহম্মদি রোজ অনলাইন ক্লাস করছেন। অগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে তাঁর স্কুল। ২৫ বছর বয়সি তরুণী বলেন, “আমাদের মতো মেয়েদের জন্য হুমকি রয়েছে। মৃত্যুভয় রয়েছে। তালিবান যদি জানতে পারে আমায় কঠিনতম শাস্তি দেবে। হয়তো পাথর ছুড়ে মেরেই ফেলবে। কিন্তু সেই ভয়ে আশা ছাড়তে আমি রাজি নই। পড়াশোনা আমি চালিয়ে যাবই।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জেহাদি সংগঠনটি। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাকেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন তালিবানি ফতোয়ায় মহিলাদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বড়সড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দেশে। এই ফরমান জারি করেছিল কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ‘বিএ পাশ’ উপাচার্য মহম্মদ আহরফ ঘাইরত। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শিক্ষিত মহল আশরফকে আদপেই পছন্দ করে না।

[আরও পড়ুন: ‘প্রতিদিন বিপদ বাড়ছে’, লালফৌজের হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement