সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এগোচ্ছে সমাজ। হাবেভাবে, কথাবার্তায় আধুনিক হচ্ছে আমজনতা। স্মার্টফোন ছাড়া যেন কাটতেই চায় না গোটা দিন। ইন্টারনেটের গতিও ফোর জি পেরিয়ে ফাইভ জি-র দিকে এগোচ্ছে। তবে সত্যি কি মন থেকে এগোতে পেরেছি আমরা? ছুঁৎমার্গ ছেড়ে সত্যি কি সমাজের হাওয়ায় গা ভাসাতে পেরেছেন সকলে? আধুনিকতার মোড়কে আদতে যে ঠিক কতটা পিছিয়ে রয়েছি আমরা তাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল অনলাইন বিপণন সংস্থা আমাজন (Amazon)।
সম্প্রতি আমাজনে একটি পিল বিক্রি হতে শুরু হয়। যার নাম ‘I-Virgin’। যার দাম ৩৬০০ টাকা। ৫০০ টাকা ছাড় দিয়ে তা কিনতে গেলে দাম পড়বে মাত্র ৩১০০ টাকা। কিন্তু ওই পিলের গুণাগুণ কী? কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পিল কোনও তরুণী খেলে বিয়ের প্রথম রাতে অর্থাৎ ফুলশয্যায় সতীত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন। প্রথম রাতে যৌন মিলনের সময় বেরোবে রক্ত। তবে পিলের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শল্য চিকিৎসা না করিয়েই হতে পারে কার্যসিদ্ধি।
ওষুধের কার্যকারিতা শুনে চোখ কপালে উঠেছে প্রায় সকলেরই। এখনও পর্যন্ত বহু মহিলাকেই বিয়ের পর প্রথম রাতে সতীত্বের প্রমাণ দিতে হয়। বিছানার উপর সাদা চাদর পেতে প্রথম রাতে স্বামী-স্ত্রী যৌন মিলনে লিপ্ত হন এমন উদাহরণও রয়েছে। দেখা হয় যোনিপথের পাতলা পর্দা অর্থাৎ হাইমেন ফেটে আদৌ রক্ত বেরোয় কি না। রক্তপাত না হলে সেই তরুণীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহও করা হয়। যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী অনেক সময় সাইকেল চালাতে গিয়ে বা সাঁতার কাটতে গিয়ে কিংবা নাচ শিখতে গিয়েও হাইমেন ফেটে যায় বহু তরুণীর। তা সত্ত্বেও কীভাবে সেই বস্তাপচা চিন্তাধারাকে আমল দিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারল আমাজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন আধুনিকমনস্ক নেটিজেনরা। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসতে থাকতে তাঁরা। নারীবাদীরাও এই ধরনের পণ্য বিক্রির তীব্র নিন্দা করছেন। কীভাবে একটি বিপণন সংস্থা মহিলাদের নিয়ে এমন আয়ের উৎস খোঁজার চেষ্টা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নারীবাদীরা।
[আরও পড়ুন: সহজ হচ্ছে পদ্ধতি, এবার ভরতুকিযুক্ত রেশন কার্ডের আবেদন করা যাবে অনলাইনে]
নারীবাদীদের রোষের শিকার হয়ে ওই বিপণন সংস্থা যদিও বিজ্ঞাপনটি নিজেদের সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ‘I-Virgin’ নামে কোনও ওষুধই পাওয়া যাচ্ছে না আমাজনে।
The post ফুলশয্যায় সতীত্বের প্রমাণ কেন দিতে হবে? সতীচ্ছদ জোড়ার পিল এনে প্রশ্নের মুখে Amazon appeared first on Sangbad Pratidin.