কৃষ্ণকুমার দাস: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক মৃত্যুও। রাজ্যেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। চাপ বাড়ছে শ্মশানগুলির উপর। এমন পরিস্থিতিতে নিমতলা শ্মশানে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৈদ্যুতিন চুল্লিতে বন্ধ রাখা হচ্ছে নন-কোভিড মৃতদেহের শেষকৃত্য। করোনা ছাড়া অন্য কারণে মৃত্যু হলে শেষকৃত্যের জন্য রতনবাবু ঘাট বা কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আরজি জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
উল্লেখ্য, কোভিড মৃতদেহগুলি বিশেষ প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দাহ করা হচ্ছে। সেই প্লাস্টিক গলে চুল্লির যন্ত্রাংশ বিকল করে দিচ্ছে বলে খবর। তাই চুল্লিগুলির বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হচ্ছে। চাপ কমাতে শ্মশানে আপাতত নন কোভিড দেহ দাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে চাপ বাড়ছে রতনবাবু ঘাট এবং কেওড়াতলায়।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ১৬ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে রইল করোনায় মৃতের দেহ! ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা]
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “নিমতলার চারটি বৈদ্যুতিক চুল্লিতেই কোভিড দেহ দাহ করা হচ্ছে। মৃতদহের সঙ্গে থাকা প্লাস্টিক গলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকী, ধোঁয়া নিয়ন্ত্রক যন্ত্রগুলিও সঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে আপাতত চাপ কমিয়ে চারটি চুল্লিকে সম্পূর্ণভাবে মেরামত করার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালের আগে পরিস্থিতি ঠিক হবে না। তবে কাঠের চুল্লিতে দাহ করা হচ্ছে দেহ।” উল্লেখ্য, কাঠের চুল্লিতে কোভিড রোগীদের দেহ দাহ করা হয় না।
কোভিডের দেহ সৎকার সামাল দিতে এবার বাধ্য হয়ে অস্থায়ী বৈদ্যুতিক শ্মশান চালু করছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ওই শ্মশানে আপাতত দু’টি চুল্লি থাকবে এবং শুধুমাত্র করোনায় মৃতের দেহই সৎকার করা হবে। নতুন ওই শ্মশানটি হবে দক্ষিণ কলকাতার ভাটচালায় ৮০ নম্বর ওয়ার্ডে, বিরজুনালা শ্মশানের সমান্তরাল রেখায় প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে নির্জন পরিবেশে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধাপায় আরও একজোড়া নতুন চুল্লিও তৈরি করছে পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর। পুরসভা সূত্রে খবর, মহানগরের বাগমারি ও বেলগাছিয়ার ‘সহর-বাংলা’ কবরস্থানও কোভিডে মৃত সংখ্যালঘুদের দেহ সামাল দিয়ে উঠতে না পারায় এবার বিকল্প জমি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।