shono
Advertisement

Breaking News

Hathras stampede

ভোলে বাবার ঘরে শুধু সুন্দরী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি! রহস্যে মোড়া ধর্মগুরুর আশ্রম

'বাবার আঙুলে চক্র দেখা যায়', এমনই গল্প ছড়িয়ে ভক্ত জোগাড় করতেন তাঁর এজেন্টরা।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 02:39 PM Jul 03, 2024Updated: 02:45 PM Jul 03, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাতরাসে আয়োজিত সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। যাঁকে কেন্দ্র করে এই সৎসঙ্গ সেই নারায়ন সাকার ওরফে ভোলে বাবার আশ্রম রীতিমতো রহস্যে মোড়া। জানা যাচ্ছে, সাদা প্যান্ট-সার্ট পরে ভক্তদের ঈশ্বরের বাণী শোনানো ভোলে বাবার জীবন যাপন কিন্তু একেবারেই সাধারণ নয়। দামি গাড়ি ও মহিলা সঙ্গ পছন্দ করতেন এই ধর্মগুরু। জানা যাচ্ছে, আশ্রমে তাঁর ঘরের ভেতর শুধুমাত্র সুন্দরী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি থাকত।

Advertisement

পুলিশ আধিকারিক থেকে ধর্মগুরুর পথ ধরে অতি অল্প সময়েই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান ভোলে বাবা। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর আশ্রম। ভক্তসংখ্যা বাড়তে থাকে হুড়মুড়িয়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের থেকে পাওয়া বিপুল অনুদানে রীতিমতো বিলাসবহুল জীবন শুরু করেন এই বাবা। ভক্ত সংখ্যা বাড়াতে এজেন্ট নিয়োগ করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ছড়াতেন গল্পকথা। যেমন বাবার আঙুলে মাঝে মাঝেই নারায়ণের মতো চক্র দেখা যায়। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি সুন্দরী মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ভোলে বাবার গুণমুগ্ধ ছিলেন খোদ অখিলেশ! সৎসঙ্গে সপা প্রধানের ছবি প্রকাশ্যে]

ভোলে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি ছাড়ার পর কাসগঞ্জের বাহাদুর নগর গ্রামে প্রথম আশ্রম খোলেন তিনি। অভিযোগ, অন্যের জমি দখল করে সেই আশ্রম গড়ে তোলা হয়। শোনা যায় তাঁর এই আশ্রমে থাকতেন সুন্দরী মহিলারা। তাঁর ঘরের ভেতর মহিলাদের পাশাপাশি তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনের অনুমতি ছিল। ভোলে বাবার ঘরে আর কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। বাইরের লোকজনের ওই ঘরের ধার মাড়ানোর অনুমতি ছিল না। এছাড়াও দামি গাড়ির সম্ভার ছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। শৌখিন বাবা অভ্যস্ত ছিলেন বিলাসবহুল গাড়ি চড়তে। যদিও কোনও গাড়িই তাঁর নামে ছিল না। গাড়ি কেনা হত তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বিশেষ করে ভক্তদের নামে।

[আরও পড়ুন: এফআইআরে নামই নেই ভোলে বাবার! হাথরাসের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সহকারী]

এমনকি শোনা যায়, একবার নাকি জেলেও যেতে হয়েছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে। যদিও ছাড়া পেয়ে যান তিনি। নিজের প্রচারে এজেন্ট নিয়োগের পর থেকে ব্যাপকভাবে বেড়ে ওঠে ভোলে বাবার জনপ্রিয়তা। তাঁর ভিভিআইপি ভক্তসংখ্যা যে নিতান্ত কম ছিল তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত বছর এই ধর্মগুরুর আশ্রমে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ইতিমধ্যেই সে ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জানা যাচ্ছে, আশ্রমে তাঁর ঘরের ভেতর শুধুমাত্র সুন্দরী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি থাকত।
  • পুলিশের চাকরি ছাড়ার পর অন্যের জমি দখল করে গ্রামে প্রথম আশ্রম খোলেন ভোলে বাবা।
  • শোনা যায়, একবার নাকি জেলেও যেতে হয়েছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে।
Advertisement