সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচাতে ফের ‘অপারেশন কমল’ শুরু করল বিজেপি। এই ‘অপারেশন লোটাস’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার বিজেপি নেতা নারায়ণ রাণে, রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিল, গণেশ নায়েক এবং বাবন রাও পাচপোতেকে। আস্থা ভোটের আগে শিব সেনা, কংগ্রেস, এনসিপি বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এরা সকলেই অতীতে শিবসেনায় বা কংগ্রেসে ছিলেন. পরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই এনসিপি-কংগ্রেস এবং শিব সেনার সম্ভাব্য বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা আপাতত বিজেপির টার্গেট। বিরোধী বিধায়করা অবশ্য এখনও একপ্রকার জেলবন্দি। প্রত্যেকটি দল তাঁদের বিধায়কদের আলাদা আলাদা হোটেলে বন্দি করে রেখেছেন। তাতেও বিপদ কাটছে না। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কংগ্রেস নেতা অশোক চৌহানের দাবি, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: “শরদ পওয়ারই আমার নেতা”, জল্পনা বাড়িয়ে টুইট অজিতের]
আপাতত সরকারের পক্ষে কতজন বিধায়ক রয়েছেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। বিজেপির ১০৫ বিধায়কের সঙ্গে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) ৫৪ জন বিধায়ক থাকলে গরিষ্ঠতা হয়ে যায়। কিন্তু এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার আবার শিবসেনা, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। তাঁর ডাকা বৈঠকে শনিবার দলের ৪৯ জন বিধায়ক উপস্থিতও ছিলেন। তাহলে বিজেপির পাশে থাকছেন অজিত-অনুগামী পাঁচ এনসিপি বিধায়ক। ২৮৮ আসনের বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য ১৪৫ জন বিধায়ক দরকার। অর্থাৎ আরও ৩৫ জনের সমর্থন দরকার ফড়নবিসের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছোট দল এবং নির্দল বিধায়কদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত কাজে’ শরদ পওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপি সাংসদের, জোর জল্পনা মহারাষ্ট্রে ]
মহারাষ্ট্রে নির্দল ও ছোট দল মিলিয়ে ২৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। সরকার গঠনের দাবি পেশের সময় ফড়নবিস বিজেপির ১০৫, এনসিপি’র ৫৪ এবং ১১ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন। এদিকে শিবসেনার দাবি, ছোট দল ও নির্দল মিলিয়ে সাত বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাদের পক্ষে। তাই সমস্ত পক্ষ বা দলকেই নিজেদের হাতে থাকা নির্দল বিধায়কদের সামলে রাখা এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক বিজেপি নেতার কথায়, “আগামী কয়েকদিন সব দলই নির্দল বিধায়কদের হাতে পেতে নানাভাবে চেষ্টা করবে। তাই তাঁদের উপর নজর রাখা জরুরি।” ওই নেতাই কৃষক প্রজা পার্টির উদাহরণ দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে তারা কংগ্রেস-এনসিপি জোটের পক্ষেই ছিল। কিন্তু নানদেড় থেকে নির্বাচিত তাদের একমাত্র বিধায়ক শ্যামসুন্দর শিন্ডে এখন বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ওই নেতার কথায়, বিধানসভায় আস্থা ভোটে কী হবে, কেউ জানে না। এক ভোটেও ফয়সালা হতে পারে।
The post মহারাষ্ট্রে শুরু ‘অপারেশন কমল’, ৪ শীর্ষনেতাকে বিধায়ক ভাঙানোর দায়িত্ব দিল বিজেপি appeared first on Sangbad Pratidin.