সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফোন করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। আর্জি জানালেন সামরিক উত্তেজনা কমানোর। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। আমেরিকা যে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India Pakistan Tension) থামাতে চাইছে তা আগেই জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। শুক্রবার মার্কো রুবিওর ফোনে ফের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ওয়াশিংটন।
এদিকে জয়শংকরও এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মার্কোর কথোপকথনের বিষয়টি। জয়শংকর লিখেছেন, 'মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে আজ সকালে কথা হয়েছে। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়ই দায়িত্বশীল এবং পরিশীলিত ছিল এবং থাকবে।'
এদিন মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ''মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি লাগাতার চেষ্টা করে চলেছে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা চালানোর। ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা চালানোর জন্য মার্কিন হস্তক্ষেপের বিষয়টিও তিনি পরিষ্কার করেছেন।''
এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে লেভিট বলেন, “বিষয়টি আমাদের বিদেশ সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও দেখছেন। প্রেসিডেন্ট চান, যত দ্রুত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা (India Pakistan Tension) কমুক। তিনি জানেন যে, দুই দেশের মধ্যে সমস্যা বহুদিনের। এমনকী তিনি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই সমস্যা চলছে। তবে দুই দেশের প্রধানদের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভালো। বিদেশ সচিব মার্কো দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন। এই দ্বন্দ্ব যাতে শেষ হয়, সেই চেষ্টা তিনি করছেন।’’
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার প্রত্যুত্তর হিসেবেই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে। তারপরও কিন্তু পাকিস্তানের ‘শিক্ষা’ হয়নি। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এই উসকানিমূলক হামলার পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। হামলা শুরুর পরেই অবশ্য পাকিস্তানকে শান্ত হতে নির্দেশ দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেকথায় কান দেয়নি ইসলামাবাদ। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, আমেরিকা যাই বলুক, পাকিস্তান উত্তেজনা কমানোর কোনও চেষ্টা করছে না। তাহলে ভারতই বা কেন উত্তর দেবে না?
