সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে শান্তিশূর্ণ ভাবে। কাশ্মীর নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যাবে না। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর এ কথাই স্পষ্ট করে দিল চিন।
চারদিনের সফরের চতুর্থ দিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইমরান (Imran Khan)। যেখানে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে আর্থিক করিডরের কাজের প্রসঙ্গ প্রথম উঠে আসে। কাজ দ্রুতগতিতে না এগোনোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিনপিং (Xi Jinping)। পাশাপাশি পাকিস্তানকে আরও জঙ্গিদমন করার পরামর্শও দেওয়া হয়। পাক ভূমে চিনা প্রকল্পের উপর সন্ত্রাস হামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করে চিনা প্রেসিডেন্ট জানান, জঙ্গিদমনে চিনও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। আর্থিক করিডরের কাজের গতি বাড়াতে ইমরান সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেয় চিন। জানানো হয়, দুই দেশের ইকোনমিক করিডর মজবুত করতে ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৪৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সমস্যা’, ইসলামাবাদকে অস্বস্তিতে ফেলে বার্তা আফগান তালিবানের]
এদিকে বৈঠকের পর কাশ্মীর ইস্য়ুতে চিন ও পাকিস্তানের তরফে যৌত বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশই চায় দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় থাকুক। তাই যাবতীয় সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণ পথেই করতে হবে। এরপর চিন জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে কাশ্মীর নিয়ে কোনও একতরফা সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে রাজি নয় চিন। এতে জটিলতা বাড়বে। উল্লেখ্য, এর আগে লাদাখকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করায় ভারত তার তীব্র বিরোধিতা করেছিল।
গোটা বিশ্বে এমনিতেই সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হিসেবে কোণঠাসা ইমরান খানের দেশ। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে ঢুকতে হয়েছে এফএটিএফের (FATF) ধূসর তালিকাতে। এরই পাশাপাশি তাদের বিরাট মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। যা ভেঙে দিয়েছে ৭০ বছরের রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে চিন (China) সফরে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন চিনা সরকারের মালিকানাধীন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও। তাঁদের কাছে বিনিয়োগের আবেদনের পাশাপাশি চিনের থেকে ঋণও চান তিনি। আর চতুর্থ দিন জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় ফের চিনকে নিজেদের পাশে পেল পাকিস্তান।