সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনঘেঁষা অবস্থানের জেরে আরও বিপাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। বছরের প্রথম ভাষণ দেওয়ার আগে নিজের দেশের পার্লামেন্টেই ধাক্কা খেলেন তিনি। কারণ অধিবেশন শুরুর আগেই প্রেসিডেন্টের ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত দুই প্রধান বিরোধী দলের।
মালদ্বীপের (Maldives) নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে বিশেষ ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট। দেশের সার্বিক উন্নতির চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী দিনে কোন পথে দেশ এগোতে পারে, সেই নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। কোনও সমস্যা হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সেই আলোচনাও হয় এই বক্তৃতায়। যেহেতু বছরের শুরুতে চিন সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu), তাই পার্লামেন্টে ভাষণ বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে এটাই পার্লামেন্টে মুইজ্জুর প্রথম ভাষণ।
[আরও পড়ুন: দাবানলে চিলিতে মৃত শতাধিক, দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা]
সোমবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের ভাষণের আগেই সেটা বয়কটের ডাক দিয়েছে মালদ্বীপের দুই প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি) ও দ্য ডেমোক্র্যাটস। ভাষণ বয়কটের কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি এমডিপি। তবে ডেমোক্র্যাটদের দাবি, যে তিনজন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ভারত বিরোধী মন্তব্যের জেরে, তাদের আবার পার্লামেন্টে ফিরিয়ে আনার কারণেই ভাষণ বয়কট হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম থেকেই তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। চিনের উসকানিতে ভারতের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নানা অপমানজনক মন্তব্য করেছেন সেদেশের নেতা-মন্ত্রীরা। তবে এই অবস্থানের জেরে নিজের দেশেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন মুইজ্জু। সেই ধারাই বজায় থাকল প্রেসিডেন্টের ভাষণেও।