বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও দেশের প্রতিপ্রান্তে এখনও মানুষ বৈষম্যের শিকার। সেই বৈষম্য দূর করে প্রশংসিত হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামাজিক কল্যাণ প্রকল্প। সেই সঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের আমন্ত্রণে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত আলোচনা সভায় উঠে এল কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের জন্য অনুদান বা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র প্রসঙ্গ।
ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে বাংলায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ মেনে অনুদান চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মোদি জমানায় কীভাবে দেশে দলিত, উপজাতি ও মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেন তা নিয়ে সরব হন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, আপ আংসদ সঞ্জয় সিং, টিআরএস সাংসদ কেশব রাও, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, আরজেডির তেজস্বী যাদব, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে দলিত ও উপজাতিদের উপর অত্যাচারে দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে। প্রায় ২৬ ও ৩০ শতাংশ।” এদিনের বৈঠকে যে দুই দলের উপস্থিতি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্ব, সেই নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসে কোনও প্রতিনিধি আলোচনায় অংশ নেননি।
[আরও পড়ুন: ৪ বছর আগে নিরুদ্দেশ, মুম্বই থেকে নিউ আলিপুরের ছেলেকে ঘরে ফেরাচ্ছে সিবিআই]
ধর্মতলার ধরনামঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এক হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছে দিল্লিতে। সোমবার ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের উদ্যোগে সামাজিক ন্যায় আলোচনায় একমঞ্চে এলেন বিরোধী দলের নেতৃত্ব। তৃণমূলের পক্ষে বলতে গিয়ে ডেরেক বলেন, “এই আলোচনা সভায় যে দুই-তিনটি দল অনুপস্থিত রয়েছে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকতে চান না। কিন্তু তাঁদের কাছে আবেদন আপনারা মুখোমুখি বসুন। এখন সাদা-কালো বাছবিচারের সময় নয়।”