নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটির রাস্তাতে হাঁটা হবে কিনা সে বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিরোধীরা। সকাল দশটায় রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর আগে সাড়ে নটায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী শিবিরের বৈঠক হতে চলেছে। বিরোধী শিবিরে থাকা দলগুলির সাংসদদের উপস্থিতির বিষয়টি দেখে নিয়েই এবিষয়ে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
রাজ্যসভার বিরোধীরা যে ভোটাভুটি চাইতে পারেন তা আন্দাজ করে বিজেপির তরফ থেকে হুইপ জারি করে সমস্ত রাজ্যসভার সাংসদদের এদিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে কোনও সংশোধনী জমা দেওয়া হয়নি। এপ্রসঙ্গে, দলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, “তৃণমূল কোনও সংশোধনী এবারেও দেয়নি। কোনও দিনই দেয়নি। আমাদের আপত্তির কথা মুখে জানালেও রাষ্ট্রপতির সম্মান রক্ষার্থে এটাই আমাদের অবস্থান। এখন বাকি বিরোধী দলগুলি যদি সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটির দাবি করে সেবিষয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।”
[আরও পড়ুন: মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে যৌথ প্রচার, লখনউয়ে পা রেখেই অখিলেশকে কথা দিলেন মমতা]
এদিকে সোমবার সংসদে কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, “বারবার ভোটে হারছে কংগ্রেস। তবু তাদের অহংকার যায়নি। মানুষ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করছে।” পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিকে কংগ্রেস রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, “কংগ্রেস যেভাবে চলছে তাতে স্পষ্ট যে আগামী ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসার ইচ্ছে নেই তাদের।”
পাশাপাশি মোদির কটাক্ষ, “ওদের আয়না দেখাবেন না। ওরা আয়নাও ভেঙে ফেলবে। সমালোচনা গণতন্ত্রের শক্তি, রত্ন। কিন্তু অন্ধ বিরোধী গণতন্ত্রের অপমান।” তিনি আরও বলেন, “বিভেদমূলক রাজনীতি কংগ্রেসের ডিএনএতে রয়েছে। ওরাই ‘টুকরে-টুকরে’ গ্যাংয়ের নেতা।” স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পর মঙ্গলবারের জবাবি ভাষণে তিনি কী বলেন সেদিকে সকলেরই নজর থাকবে।