সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলনের ১০০ দিনে পা রেখে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে পূর্বঘোষিত মিছিলে শামিল আন্দোলনকারীরা। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ধরে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে সেখানেই পথসভা হয়। আর সেই সভা কার্যত ‘রাম-বাম’ জোটের ঐক্যমঞ্চে পরিণত হল। আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের চেয়েও প্রাধান্য পেল শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচী, আবদুল মান্নান, সৃজন ভট্টাচার্যদের বক্তব্য। আর এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কটাক্ষ, ”ওটা ডিএ মিছিল নয়, বিরোধী দলগুলির অতৃপ্ত আত্মাদের রাজনৈতিক সমাবেশ।” আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় তাঁদের স্নোগানের স্বর অবদমিত করতে জোরে গান বাজানো হয়েছিল। তবে এভাবে ডিএ-র দাবিতে সরব কণ্ঠ রোধ করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
হাই কোর্টের (Calcutta HC) অনুমতিক্রমে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকায় মহামিছিল করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। পোস্টার, ব্যানার হাতে নিয়ে হাঁটেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্যভাবে কারও পরনের টি-শার্টে ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখ আঁকা। যিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে অত্যন্ত আলোচিত ব্যক্তিত্ব। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দিয়ে যাওয়ার সময়ে অভিযোগ, তাঁদের স্লোগানের স্বর চেপে দিতে জোরে গান বাজানো হয়। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব এই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে, রবীন্দ্রজয়ন্তীর জন্য সেখানে মহড়া চলছিল, তাই গান বাজানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি-ভাইপো খাবে, আমরা খাব না, তা হবে না’, DA মঞ্চে বিস্ফোরক সোনালি গুহ]
তবে মিছিল হাজরা মোড়ে পৌঁছতে সভামঞ্চে দেখা গেল একাধিক বিরোধী নেতাকে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), কৌস্তভ বাগচী, সৃজন ভট্টাচার্যরা তাঁদের দাবির পক্ষে সুর চড়ান। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভের দাবি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হেঁটেই প্রাপ্য আদায় করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ টিমকে সতর্ক করলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, দিলেন ‘খারাপ খবর’]
এরপর সেই মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিএ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি রাজ্য সরকারকে নানাভাবে দুষে অন্যপথে রাজনৈতিক আক্রমণ করেন। বলেন, ”কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, মৃত্যু হলে আমায় খবর দিন। মৃতদেহ নিয়ে সোজা কালীঘাটে পৌঁছে যাব।” তাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষরা এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেন, ”ও অনুশোচনাহীন, মানবিকতার ত্রিসীমানায় থাকে না। ক্রিমিনাল মাইন্ডেড। ওকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।”