সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। প্রবাদ মানলে কোনও মা-ই ‘কুমাতা’ হন না। কিন্তু এতদিনের ধারণাকেই যেন ভেঙে দিলেন ওড়িশার (Orissa) এক মা! আদালত মনে করছে, ওই মহিলার কাছে তাঁর সন্তান থাকলে তা তার জন্য ‘ক্ষতিকারক’ হতে পারে। তাই ১৫ মাসের ছেলের দায়িত্ব পেলেন বাবা।
এই মুহূর্তে বিবাহবিচ্ছিন্ন ওই দম্পতি। তাঁরা আলাদাই থাকেন। ছেলে থাকত মায়েরই কাছে। কিন্তু হাই কোর্টে (Orissa High Court) ছেলের কাস্টডি চেয়ে স্বামী চক্রধর দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী রোজালিন একরত্তি ছেলেকে মারধর করে। একটি ভিডিও দেখে আদালত চক্রধরের পক্ষেই রায় দিয়েছে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, নির্দয়ের মতো নিজের ছোট্ট ছেলেকে প্রবল মারধর করছেন রোজালিন। বিচারপতি এসকে মিশ্র ও সাবিত্রী রাথোর ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, চক্রধরের হাতে তাঁর ছেলেকে তুলে দেওয়ার। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, ভিডিও থেকে পরিষ্কার ওই মহিলা তাঁর ছেলের উপরে অকথ্য অত্যাচার করেন। অতটুকু ছোট ছেলের উপরে এই নিষ্ঠুরতা দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
[আরও পড়ুন : ‘প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা রাখতে PM CARES-এর হিসাব দিন’, মোদিকে চিঠি ১০০ প্রাক্তন আমলার]
পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় চক্রধর ও রোজালিন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। রোজালিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন, চক্রধর পণ চেয়ে তাঁর উপরে অত্যাচার করছেন। সেই সময় চক্রধরকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। যদিও পরে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। আবার একসঙ্গে সংসার করতে থাকেন তাঁরা। ফের সমস্যা শুরু হয় তাঁদের সন্তানের জন্মের পরে। এরপর আবারও তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। চক্রধরের অভিযোগ, এরপর থেকেই ছেলের উপরে প্রবল অত্যাচার শুরু করে দেন রোজালিন। দাবি, তিনি স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করতেই সন্তানের উপরে নিপীড়ন শুরু করেছেন। অবশেষে আদালত মেনে নিল চক্রধরের আবেদন। ছোট ছেলেকে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে বাবার কোলে।