সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, ইচ্ছাশক্তির কাছে কোনও কিছুই বাধা নয়। মানুষ চাইলে সব কিছুই পারে। সেটা ফের প্রমাণ করে দিলেন দিল্লির কনস্টেবল সোনিকা যাদব। সর্বভারতীয় পুলিশ ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় ১৪৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন তুলে ব্রোঞ্জ জেতেন। আকর্ষণীয় বিষয়টি হল, সোনিকা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মে মাসে নিজের শরীরে আরেকটি প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেন সোনিকা। চাইলে তখনই তিনি ট্রেনিং ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে নিজের আবেগের খেলার অনুশীলন করতে থাকেন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতিযোগিতায় যখন সোনিকা নামেন, তখন কেউ বুঝতে পারেননি সোনিকা অন্তঃসত্ত্বা। এমনকী যখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে বেঞ্চ প্রেস করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনও কেউ কিচ্ছুটি বুঝতে পারেনি।
অবশেষে যখন সোনিকা ডেডলিফটের চেষ্টা করেন, তখন সবাই বুঝতে পারেন। হাততালিতে সোনিকার সাহস ও ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানান দর্শকরা। অন্য প্রতিযোগীরাও এসে তাঁকে অভিনন্দন ও সাবাশি জানান। সোনিকা স্কোয়াটে ১২৫ কিলো, বেঞ্চ প্রেসে ৮০ কিলো ও ডেড লিফটে ১৪৫ কিলো ওজন তুলে ব্রোঞ্জপদক পান।
সোনিকা জানিয়েছেন, তাঁর অনুপ্রেরণার নাম লুসি মার্টিনস। যিনি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভারোত্তলনে করেছিলেন। লুসির সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করেছিলেন সোনিকা। পরামর্শও পান। ২০২৪-র ব্যাচ সোনিকা কমিউনিটি পুলিশিং সেলে আছেন। ভারোত্তলনের আগে কবাডি খেলতেন তিনি। তবে তাঁর এই কীর্তির অনেকে প্রশংসা করলেও নেটিজেনদের একাংশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, সোনিকা অযথা ঝুঁকি নিয়েছেন।
