সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। তবে দাবার বোর্ডে বিপক্ষের মুখে 'কিস্তিমাত' শুনলে কেন বারবার তিনি মেজাজ হারান, তার কোনও উত্তর নেই। র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ভ্লাদিস্লাভ আর্টেমিয়েভ। রাশিয়ান দাবাড়ুর সঙ্গে হেরে মেজাজ একেবারে সপ্তমে উঠল ম্যাগনাস কার্লসেনের। রাগে এতটাই বেসামাল হয়ে পড়লেন যে, ক্যামেরাম্যানকে ঠেলে বিতর্কে জড়ালেন। এর আগেও তিনি ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশের কাছে হেরে প্রচণ্ড রেগে টেবিলে ঘুসি মেরেছিলেন।
রাউন্ড সাতে খারাপ খেলছিলেন না নরওয়ের দাবাড়ু। কিন্তু ১৫ নম্বর চাল দিতে গিয়ে বড়সড় ভুল করে বসেন কার্লসেন। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন আর্টেমিয়েভ। ম্যাচও জেতেন তিনি। কিন্তু হেরে রীতিমতো মেজাজ হারান পাঁচবারের বিশ্ব র্যাপিড চ্যাম্পিয়ন। হল ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরাম্যানকে ঠেলে বসেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওয় দেখা দিয়েছে, হল ছেড়ে বেরনোর সময় এক ক্যামেরাম্যান তাঁকে অনুসরণ করছিলেন। আকাশি রঙের জামা পরা কার্লসেন প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে ক্যামেরাম্যানকে ঠেলে সরিয়ে দিতে। ম্যাচ হারের হতাশা থাকা স্বাভাবিক। তাবলে এমন আচরণ কখনওই শোভনীয় নয়। খেলার মঞ্চে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ খেলার অঙ্গ। তবে তার সীমা রয়েছে, মাত্রাবোধ রয়েছে, অনুশাসন রয়েছে। যা ভেঙেছেন কার্লসেন।
তবে কার্লসেনের এই ধরনের আচরণ নতুন নয়। চলতি বছরের জুন মাসে নরওয়ে ওপেনের ষষ্ঠ রাউন্ডে ১৯ বছর বয়সি ভারতীয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশের কাছে হেরে হতাশা গোপন করতে পারেননি কার্লসেন। মেজাজ হারিয়ে টেবিলে ঘুসি মেরে বসেন তিনি। সেদিন ভারতীয় দাবাড়ুর সামনে ৪৪ চালে ভুল করে বসেন কার্লসেন। গুকেশও জয় ছিনিয়ে নেন। প্রচণ্ড হতাশায় টেবিলে সজোরে ঘুসি মারেন তিনি। যার জেরে কয়েকটা ঘুঁটিও পড়ে যায়। এদিন আবারও পরাজিত হয়ে মেজাজ হারালেন নরওয়ের দাবাড়ু।
