সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের উপার্জনে বসে বসে খায় বাবা! সেই কটাক্ষ শুনতে শুনতে রেগে গিয়েই মেয়েকে গুলি করে খুন ((Tennis Player Murder)) করে দিলেন বাবা। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রাধিকা যাদব হত্যাকাণ্ডে (Radhika Yadav Murder)। উঠতি টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা একটি টেনিস অ্যাকাডেমিও চালাতেন। সেই অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাধিকার বাবা দীপক। সেই নির্দেশ অমান্য করতেই রাধিকাকে খুন হতে হয়।
বৃহস্পতিবার হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, রাধিকাকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান দীপক। তিনটি গুলি রাধিকার বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। তরুণ খেলোয়াড়ের মর্মান্তিক পরিণতির পর গোটা ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা শুরু হয়। পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন রাধিকার কাকা কুলদীপ যাদব। তারপরেই দীপককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
জেরার মুখেই খুনের কথা স্বীকার করেন দীপক। তিনি স্পষ্ট জানান, "গ্রামের সকলে আমাকে খোঁচা দিত। সবাই বলত, আমি মেয়ের পয়সায় বসে বসে খাই। এই খোঁচা শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগত। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলত। আমি অনেকবার মেয়েকে বলেছিলাম অ্যাকাডেমিটা বন্ধ করে দিতে, শোনেনি। বারবার কটাক্ষ শুনতে শুনতে আমার সম্মানহানি হচ্ছিল।"
দীপক জানান, রাগের বশেই রান্নাঘরে গিয়ে মেয়েকে গুলি করে দেন তিনি। নিজের লাইসেন্সড রিভলভার থেকেই গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতির পরেও পুলিশকে বয়ান দিতে চাননি রাধিকার মা। তবে ভাইঝির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কুলদীপ। কেন এইভাবে খুন হতে হল রাধিকাকে, কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। প্রসঙ্গত, প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন রাধিকা যাদব। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ক্রমতালিকায় তিনি ছিলেন ১১৩ নম্বরে। সম্প্রতি ডবলসে তিনি শীর্ষ ২০০-র মধ্যে ছিলেন।
