সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জল্পনা-কল্পনা নয়। ভারতের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য সত্যিই প্রস্তুত হচ্ছে দেশ। ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজন করতে চেয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। শুধু ওই বছরের অলিম্পিক নয়, তার সঙ্গে প্যারালিম্পিকও আয়োজন করতে চায় ভারত। উল্লেখ্য স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, “দেশের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজন আমাদের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে দেশ।” অবশেষে শুরু হয়ে গেল তার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।
পরের অলিম্পিক হবে লস অ্যাঞ্জেলসে। তার পর ২০৩২ সালের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন। ভারত যে পরবর্তী অলিম্পিক আয়োজন করতে চায়, সে বিষয়ে জল্পনা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার সেই স্বপ্নের কথা শুনিয়েছেন। এই নিয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া সূত্রের খবর, "এই বিরাট সুযোগ বহু সুবিধা এনে দিতে পারে। যার ফলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি হবে। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে যুবসমাজের শক্তিবৃদ্ধি হবে।"
এদিন আনুষ্ঠানিক দাবি প্রকাশের খবর এলেও পরিকল্পনা বহুদিন ধরেই চলছিল। ২০৩০ সালে যুব অলিম্পিক হতে চলেছে। যা আয়োজন করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। মুম্বই শহরকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে আইওএ। তার সাফল্যের উপর নির্ভর করবে ভারতের মাটিতে ২০৩৬ অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ। তবে অলিম্পিক আয়োজনে ভারত ছাড়াও বিশ্বের ১০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যেই দাবি জানিয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, ২০২৮-র অলিম্পিক যে দেশে, অর্থাৎ আমেরিকাতে গিয়েও মোদি বলেছিলেন, "খুব তাড়াতাড়ি ভারতের মাটিতে অলিম্পিক দেখবে বিশ্ব। ২০৩৬-র অলিম্পিক ভারতে আয়োজন করার জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছি আমরা।” একই কথা বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে আইওএ-র প্রধান পিটি ঊষা। অলিম্পিকে পদকজয়ী তারকা নীরজ চোপড়াও বলেছিলেন, "ভারতে যদি ২০৩৬ সালে অলিম্পিক আয়োজিত হয়, সেটা দেশের খেলাধুলোর জন্য খুব ভালো হবে।" সেই স্বপ্নপূরণ কি হবে? অপেক্ষায় দেশবাসী।