সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করলেন, তথ্যপ্রমাণ হিসাবে তাঁর কাছে 'স্ক্রিনশট' আছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বিঁধতে গিয়ে সীমা খান্না নামে কমিশনের এক আধিকারিকের নামও করেছেন অভিষেক। তৃণমূল সেনাপতির প্রশ্ন, "সীমা খান্না নামে একজন ভদ্র মহিলা আছে। তাঁর ভূমিকা?"
কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিআইজি পদে রয়েছেন সীমা। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতি চলাকালীন বাংলায় এসেওছিলেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই সীমার বিরুদ্ধে কার্যত এসআইআর প্রক্রিয়ায় কারচুপির তুলে অভিষেক বলেন, "একটা স্ক্রিনশট আমরা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেব। (সীমার উদ্দেশে) কার অঙ্গলুহেলনে উনি এ সব করছেন? উনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, কমিশনের অ্যাপে গোলযোগ আছে।"
অভিষেক বলেন, "লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি (অসঙ্গতি) আছে বলে একটা লিস্ট ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ নেই। ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষের নামের পদবিতে গোলমাল আছে বলছিলেন। সেই তথ্য কবে প্রকাশ করেছে কমিশন? ১৬ ডিসেম্বর। ওইদিনই ওরা বলে দিল অসঙ্গতি রয়েছে। ওদের কাছে কোন জাদুকাঠি রয়েছে যে, ৮০ হাজার বিএলওকে দিয়ে সাত কোটি ডেটা একদিনে যাচাই করে দিল। অসঙ্গতির হিসাব দিয়ে দিল। এতই যদি দক্ষ হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে মেয়াদ বাড়াতে কেন? এই লিস্ট কোথায়? ভোটার লিস্ট পরিষ্কার করতে চান, তা হলে লোকাচ্ছেন কেন? তালিকা প্রকাশ করুন। কতজন বাংলাদেশির তালিকা রয়েছে, তা-ও প্রকাশ করুন।"
দিল্লি গিয়েও কমিশনের কাছে জবাব চাইবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূল নেতা জানান, তিনি ৩১ ডিসেম্বর দিল্লি যাবেন। সেখানে গিয়ে কমিশনের দফতরে যাবেন। তালিকা চাইবেন। কমিশন যদি তা দিতে না পারে, তা হলে ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।
