সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব টেনিসে যুদ্ধের আবহ! টেনিসের চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল নোভাক জকোভিচের সংগঠন পিপিটিএ। জকোভিচের সংগঠনের দাবি, প্লেয়ারদের স্বার্থবিরোধী আচরণ করছে ওই সংগঠন। টেনিস জগতে আমূল সংস্কারের জন্য চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা দায়ের করেছে পেশাদার টেনিস প্লেয়ারদের সংগঠন।

এই চারটি সংস্থা হল পেশাদার টেনিস সংগঠন (এটিপি), মহিলাদের টেনিস সংগঠন (ডব্লুটিএ), আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) ও আন্তর্জাতিক টেনিস সংহতি সংস্থা (আইটিআইএ)। ১৬৬ পাতার দীর্ঘ নথি পেশ করেছে জকোভিচের সংগঠন। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "সংগঠিত ভাবে প্লেয়ারদের ক্ষতি করা, বৈষম্যমূলক আচরণ ও প্লেয়ারদের স্বার্থবিরোধী আচরণ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সেগুলোকে থামানোর জন্য এই মামলা।"
২০২০ সালে জকোভিচ ও কানাডার প্লেয়ার ভাসেক পসপিসিল পিপিটিএ তৈরি করেন। বিশ্বের ২০ জন প্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে তারা এখন আইনি পথে হাঁটছে। পিপিটিএ-র বক্তব্য, "এটিপি, ডব্লুটিএ, আইটিএফ ও আইটিআইএ একটা মিলিত চক্র হিসেবে কাজ করছে। কঠিন নিয়ম লাগু করে বা বাইরের জাঁকজমকের মধ্যে প্লেয়ারদের ফাঁদে ফেলে তাঁদের প্রতিভা নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁদের আর্থিক স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছে না। সব মিলিয়ে টেনিস ধ্বংসের পথে।"
পিপিটিএ-র অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সংগঠনগুলির ভিতরকার যোগসাজশ, পুরস্কার মূল্য বিতরণে অসাম্য ও সূচি তৈরিতে সমস্যা ইত্যাদি। কখনও প্রবল গরমে ম্যাচ রাখা হচ্ছে, কখনও বা অনেক রাতে ম্যাচ শেষ হচ্ছে। এমনকী ডোপ টেস্টের সময় তাঁদের ফোনে কী আছে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন ইভেন্টে টেনিস বলের মাপেও তারতম্য হচ্ছে। এছাড়া ছবির স্বত্ত্ব, প্লেয়ারদের নিজস্ব স্পনসর নিয়ে কড়াকড়ি ও র্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বৈষম্য নিয়ে অভিযোগ রয়েছে প্লেয়ারদের সংগঠন।
অবশ্য এর পালটা দিয়েছে এটিপি, ডব্লুটিএ, আইটিআইএ। তাদের বক্তব্য মোটামুটি একই রকম। টেনিসের সংস্থাগুলি উন্নতির সমস্ত রকম চেষ্টা করছে। কিন্তু পিটিপিএ বিভাজনের চেষ্টা করছে। ভুল তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করছে। এবার দেখার দুপক্ষের 'যুদ্ধ' কত দূর চলে?