সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনে মরিয়া ভারত। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। তবে এরই মধ্যে একটা খবর। ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের পরিকাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত হতে চলেছে ২০১৩ সালে একটি ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আশারাম বাপুর আশ্রমের জমি।

সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকার আহমেদাবাদে ৬৫০ একর জমিতে অলিম্পিক ভিলেজ গড়ে তুলতে চলেছে। কেবল তাই নয়, আরও অন্যান্য পরিকাঠামোও নির্মিত হবে ওই জমির উপর। এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আশারাম আশ্রম, ভারতীয় সেবা সমাজ এবং সদাশিব প্রজ্ঞা মণ্ডল - এই তিনটি আশ্রমের জমি সরকার অধিগ্রহণ করতে চলেছে।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের কাছেই গড়ে উঠতে চলেছে অলিম্পিকের জন্য এই পরিকাঠামো। প্রায় ৬৫০ একর জমিতে নির্মিত হবে সর্দার প্যাটেল স্পোর্টস এনক্লেভ, অলিম্পিক ভিলেজ এবং অন্যান্য স্পোর্টস কমপ্লেক্স। তবে এই ট্রাস্টগুলিকে বিকল্প জায়গাও দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আশারাম আশ্রম, ভারতীয় সেবা সমাজ এবং সদাশিব প্রজ্ঞা মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্কিত কালেক্টরের কার্যালয় আইন অনুযায়ী বকেয়া প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। ল্যান্ড পার্সেল ফাইনালিস্টিং কমিটি নির্মাণের জন্য বিকল্প জমি বা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই গান্ধীনগরে অলিম্পিকের রিভিউ মিটিং হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে, অলিম্পিক আয়োজনে ভারতের খরচের অঙ্কটা ৩৪ হাজার ৭০০ কোটি থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত বছর প্যারিস অলিম্পিকে খরচ হয়েছিল ৩২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। কিন্তু ভারত ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইলে তার দ্বিগুণেরও বেশি খরচ হতে পারে।
২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আশারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর থেকে যোধপুরেই জেলবন্দি রয়েছেন আশারাম। এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয় স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে।