সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিকের প্রাণ যায়। এর বদলা হিসেবে অপারেশ্ন সিঁদুর চালায় ভারত। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও বাতিল করে ভারত সরকার। প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান হকি দলের ভারতে এসে খেলার সম্ভাবনা কতটা? চলতি বছর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে বিহারের রাজগিরে। ২৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। জানা গিয়েছে, সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতে আসতে চায় পাকিস্তান। এ ব্যাপারে তারা এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কাছে ভিসার আর্জিও পর্যন্ত জানিয়েছে।
পাকিস্তান হকি সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ পাক হকি দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছর নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামে বসবে পুরুষদের হকি বিশ্বকাপের আসর। সেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব এই এশিয়া কাপ। তাঁর কথায়, “আমরা বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ হারাতে চাই না। তাই এশিয়া কাপে অংশ নিতে চাই। এশিয়া কাপে অংশ নিলে হকি বিশ্বকাপে আমাদের খেলার সুযোগ বাড়বে। আমার বিশ্বাস, ভারতীয় হকি সংস্থা কোনও না কোনও সমাধানসূত্র ঠিক বের করবে। আমরা এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কাছে অর্জি জানিয়েছি, যাতে আমাদের ভিসা নিশ্চিত করা হয়।”
এর আগে হকি ইন্ডিয়ার সচিব ভোলানাথ সিং এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখনই এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা এই বিষয়ে সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করব। যা অতীতেও ঘটেছে। অপারেশন সিঁদুরের পর আমদের পক্ষে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনও প্রায় তিন মাস বাকি। তবে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারা যা পরামর্শ দেবে, সেটাই মেনে চলব। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না।” বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এর পরেই নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান হকি সংস্থা। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান। আর এবার তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা নির্ভর করবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের উপর। যদিও ভারত যেহেতু এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ, সেই কারণে এশীয় সংস্থাকেও ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
আয়োজক দেশ ভারত ছাড়াও এশিয়া কাপের ১২তম সংস্করণে অংশ নেওয়ার কথা জাপান, কোরিয়া, চিন, মালয়েশিয়া, ওমান, চাইনিজ তাইপে এবং পাকিস্তানের। মোদ্দা কথা, সরকার সবুজ সংকেত না দিলে ভারতে আসতে পারবে না পাকিস্তান। তাই সমস্ত কিছু নির্ভর করছে ভারত সরকারের অবস্থানের উপর। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান ভারতে আসার অনুমতি না পেলে কি অন্য কোনও দল আনা হবে? জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে এশীয় হকি ফেডারেশনের হাতে।
