সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিসে লক্ষ্যপূরণ হয়নি লক্ষ্য সেনের। ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। খেলার শেষে পরাজিত লক্ষ্য হতাশায় কথা পারছিলেন না। চতুর্থ হয়েই থামতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তার পরও তোপের মুখে পড়তে হয়েছে লক্ষ্যকে। প্রকাশ পাড়ুকোন ভারতের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীদের বলেছিলেন 'দায়িত্বহীন'। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে লক্ষ্যকে নিশানা করলেন ক্রিকেটের কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর।
শুধু লক্ষ্য নন। ব্যাডমিন্টনে একাধিক পদক নিয়ে আশা ছিল। সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ শেট্টি জুটিও ছিটকে যান। পিভি সিন্ধুও হেরে যান প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। সেসব নিয়ে প্রকাশ পাড়ুকোন বলেন, “আমি হতাশ ব্যাডমিন্টন থেকে পদক না আসায়। আমরা ৩টি পদকের জন্য লড়েছিলাম। অন্তত একটা পদক এলেও খুশি হতাম। কিন্তু এটাও বলতে হবে এই সরকার, সাই, টিওপি এবং ফেডারেশন তাদের কাজ দায়িত্ব সহকারে করেছে। ক্রীড়ামন্ত্রক ও বর্তমান সরকার যেভাবে সাহায্য করেছে, তার চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। এখন প্লেয়ারদের উচিত দায়িত্ব নেওয়া।”
তাঁকে সমর্থন জানিয়ে গাভাসকর বলেন, প্লেয়ারদের অবশ্যই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। পাড়ুকোনের বক্তব্যে কোনও ভুল নেই। তিনি বলেন, "যদি প্লেয়ার পারফরম্যান্সের দায়িত্ব না নেয়, তাহলে কে নেবে? আসলে অজুহাত দেওয়ায় আমরা বার বার সোনা পাব। হ্যাঁ, প্রকাশ পাডূকোন সকলের সামনে না বলে ড্রেসিং রুমে বলতে পারতেন। কিন্তু সবার সামনে বলার গুরুত্ব অনেক বেশি। লক্ষ্য যদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে এগুলো ওর ভালোভাবে নেওয়া উচিত। আর নাহলে লক্ষ্য এরকম ভুলই করতে থাকবে।"
[আরও পড়ুন: শুধু দক্ষতা নয়, অলিম্পিক পদক জয়ের চাবিকাঠি কী? ভারতের ব্যর্থতার মধ্যেই পরামর্শ বিন্দ্রার]
সেই প্রসঙ্গে গাভাসকর তুলে নিয়ে আসেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার 'গার্ডেন মে ঘুমনেওয়ালা'-র কথা। লক্ষ্যকে উদ্দেশ্য করে সেটাই বলেন গাভাসকর। তিনি জানান, "লক্ষ্য প্রথমে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হেরেছে। প্রকাশ, বিমল কুমারদের যা করার ছিল করেছেন। কিন্তু যখনই জেতার মুহূর্ত আসা উচিত, তখন একটা কথাই মাথায় আসে। রোহিত শর্মার বলা 'গার্ডেন মে ঘুমনেওয়ালা'-র মতো অবস্থা লক্ষ্যর।"
[আরও পড়ুন: ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে রোহিত-কোহলি! দলীপ ট্রফিতে খেলবেন মহাতারকারা, বিশ্রামে বুমরাহ]
তাঁর সংযোজন, "ম্যাচ দেখলেই বোঝা যাবে লক্ষ্য মনঃসংযোগ হারিয়েছিল। যেভাবে ও চারদিকে তাকাচ্ছিল, জল খাচ্ছিল, সেটাই মনে হয়। আমি ভুলও হতে পারি। কিন্তু ওর মুখচোখে কোনও অনুভূতিই ছিল না। যার অর্থ ওর মন লক্ষ্য থেকে সরে গিয়েছে। কোচেরা তো আর মনঃসংযোগ শেখাবেন না। সেটা নিজের ভিতরেই তৈরি করতে হয়। তার জন্য কোনও বিশেষ প্রোগ্রাম থাকে না।"