সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকে কুস্তির ৬৮ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পদকের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নিশা দাহিয়া। কিন্তু একটা চোটেই সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। জয় যখন প্রায় হাতের মুঠোয়, তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় চোট। যদিও নিশার কোচের দাবি, তাঁকে ইচ্ছাকৃত আহত করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রতিপক্ষ জেতার জন্য নিশাকে আহত করেছেন।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে একটা সময় পর্যন্ত অনেকটা এগিয়ে ছিলেন নিশা। উত্তর কোরিয়ার সোল গুম পাকের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ৪-০ পয়েন্টে এগিয়ে যান ভারতীয় কুস্তিগির। দ্বিতীয় রাউন্ডেও এগিয়ে যান তিনি। ৮-১ অবস্থায় জয় কার্যত নিশ্চিত বলেই ধরা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরই ডান হাতে মারাত্মক চোট পান। তা সত্ত্বেও খেলা থেকে সরেননি। শেষ পর্যন্ত ১০-৮ ব্যবধানে হেরে যান।
[আরও পড়ুন: অলিম্পিকে ইতিহাস, নজির গড়ে ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ ফাইনালে ভারতের অবিনাশ]
ম্যাচের পর ম্যাটের উপর অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েন নিশা। হাত প্রায় নাড়াতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জাতীয় জাতীয় রেসলিং কোচ বীরেন্দ্র দাহিয়া। তাঁর দাবি, নিশা হেরে যাননি, ভারতীয় কুস্তিগিরের থেকে পদক 'কেড়ে নেওয়া' হয়েছে। তিনি বলেন, "১০০ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে নিশাকে আঘাত করেছে। আমরা দেখেছি, কোরিয়ার কর্নার থেকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। ওরা নিশার জয়েন্টে আক্রমণ করছিল। ওর থেকে পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: পদ্মাপারে ‘আক্রান্ত’ দুই ক্রিকেট-নায়ক, মাশরাফির বাড়িতে আগুন, এখনই দেশে ফিরছেন না শাকিব]
বীরেন্দ্র দাহিয়া আরও বলেন, "নিশা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে পদক ওর গলাতেই উঠত। কিন্তু সেটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ও অত্যন্ত পরিষ্কার আক্রমণ করছিল। কাউন্টার-অ্যাটাকগুলোও ভালো ছিল এবং দুরন্ত ডিফেন্সও করছিল। এই প্রতিযোগীকে নিশা এশিয়ার যোগ্যতা অর্জন পর্বে হারিয়েছিল। এটা ওর হেরে যাওয়ার মতো ম্যাচই ছিল না।" যদিও নিশার আঘাত কতটা গুরুতর, সেটা এখনও জানা যায়নি।