সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম পাকিস্তানি হিসাবে অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা। জ্যাভলিন থ্রোয়ে অলিম্পিকে রেকর্ড। বৃহস্পতিবার একটা থ্রো করেই এতগুলো ইতিহাস গড়েছেন আর্শাদ নাদিম। তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের সামনে ফিকে হয়ে গিয়েছেন নীরজ চোপড়া। তবে জ্যাভলিন থ্রো ফাইনালে ভারত-পাক লড়াই ছাপিয়ে উঠে আসছে দুই দেশের তারকা ক্রীড়াবিদের বন্ধুত্বের ছবি।
প্যারিস অলিম্পিক (Paris Olympics 2024) শুরুর মাত্র ৫ মাস আগেও নাদিম (Arshad Nadim) জানতেন না গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নামতে পারবেন না। কারণ তাঁর ব্যবহৃত বড়শাগুলো আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করার যোগ্য ছিল না। অর্থের অভাবে আলাদা করে জ্যাভলিন কেনারও সামর্থ্য ছিল না আর্শাদের। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। প্রকাশ্যেই বলেন, দেশের ফেডারেশনের সাহায্য না পেলে তাঁর অলিম্পিকে নামার স্বপ্ন হয়তো সফল হবে না।
প্রতিবেশী দেশের সতীর্থের এমন দুরাবস্থার কথা শুনে সরব হন নীরজও (Neeraj Chopra)। তিনি বলেন, "জ্যাভলিন কেনার অবস্থা নেই আর্শাদের, এটা ভাবতেও কষ্ট হয়।" পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে নীরজ বলেন, "আর্শাদকে সাহায্য করা খুব একটা কঠিন নয়। ও অন্যতম সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ার। জ্যাভলিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোও খুশি হবে আর্শাদকে সাহায্য করতে পারে।"
উল্লেখ্য, জ্যাভলিন ছোড়া যখন শুরু করলেন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম, তখন কোনওক্রমে গ্রামবাসীদের এবং স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে প্রশিক্ষণ চলত। অলিম্পিকের আগে দীর্ঘদিন বিশ্বমানের জ্যাভলিনও ছিল না তাঁর কাছে। গত সাত আট বছর ধরে একটি জ্যাভলিন নিয়েই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নামছিলেন। কখনও ক্রাউডফান্ডিংও করেছেন। দীর্ঘদিন কোনও স্পনসর ছিল না নাদিমের। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল করলেন তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার।