সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুই যুগের বর্ণময় টেনিস কেরিয়ারে সমাপ্তি। অবসর ঘোষণা করলেন রোহন বোপান্না। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। সোশাল মিডিয়ায় অবসরের কথা জানিয়েছেন তিনি।
২০০২ সালে ডেভিস কাপে রোহনের অভিষেক। যদিও পেশাদার টেনিস জগতে তাঁর পদার্পণ পরের বছর। প্রায় দুই যুগের টেনিস অভিযানের শেষ অধ্যায়টি রচিত হয় প্যারিস মাস্টার্স ১০০০-এ। ৪৫ বছর বয়সি টেনিস তারকা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও শক্তিশালী হয়েছেন। অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে বিশ্বের সর্বত্র ভারতের জয়পতাকা উড়িয়েছেন। বিশেষ করে ডবলসে রোহনের সাফল্য বহুল চর্চিত।
২০২৪ সালে ডবলস কেরিয়ারে শীর্ষস্থান দখল করেন। সেই বছরই অস্ট্রেলীয় ওপেনের ডবলসে ম্যাথু এবডেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে চ্যাম্পিয়ন হন। তার আগে ২০১৭ সালে গ্যাব্রিয়েলি ডাব্রোওস্কির সঙ্গে জুটিতে ফরাসি ওপেন মিক্সড ডবলসও জেতেন। ২০১৯ সালে ভারতের ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার অর্জুন সম্মানে ভূষিত হন। ২০২৪-এ পদ্মশ্রী পুরস্কার পান। এবডেনের সঙ্গে জুটিতে অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতে সব থেকে বেশি বয়সে প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জেতার রেকর্ড করেছিলেন বোপান্না। ৪৪ বছরে মায়ামি ওপেন জিতে সব থেকে বেশি বয়সে মাস্টার্স ১০০০ খেতাব জয়েরও নজির গড়েছিলেন। গতবছর অলিম্পিকের পর দেশের জার্সিতে আর খেলবেন না ঠিক করেছিলেন। অবশেষে টেনিস র্যাকেটটি তুলে রাখলেন বোপান্না।
সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, 'বিদায়, কিন্তু এটাই শেষ নয়। যা আমাকে বাঁচার রসদ জুগিয়েছে, তাঁকে কীভাবে বিদায় বলা যায়? তবু সময় এল। আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে র্যাকেটটা তুলে রাখছি। কুর্গের একটা ছোট্ট শহর থেকে উঠে এসে, কফিবাগানের মধ্যে দিয়ে ছুটে শক্তি বাড়াতে, ভাঙাচোরা কোর্টে স্বপ্ন ধাওয়া করতে করতে বিশ্বের সেরা মঞ্চে পৌঁছনো স্বপ্নের মতো। টেনিস আমার কাছে একটা খেলা নয়। যখন জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলতাম, যখন গোটা বিশ্ব আমার ক্ষমতায় সন্দেহ প্রকাশ করত, তখন টেনিস আমাকে শক্তি দিয়েছে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায়। ধন্যবাদ ভারত।' ওই পোস্টে পরিবার, স্ত্রী, কোচ ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বোপান্না। পাশাপাশি পরবর্তী লক্ষ্য, নিজের শহরে টেনিস অ্যাকাডেমির কথা জানিয়েছেন।
