সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলে ভাগ্য নির্ধারণ ভিনেশ ফোগাটের। শেষ পর্যন্ত রুপোর পদক কি পাচ্ছেন তিনি? অধীর অপেক্ষায় দেশ। কিন্তু যে নিয়মকে হাতিয়ার করে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ভিনেশের বিরোধিতা করছে, তাদের নিয়মেই রয়েছে বড় ফাঁক। যা অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে ভিনেশের?
একই দিনে জাপান, ইউক্রেন এবং কিউবার কুস্তিগিরকে মাটি ধরিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করেছিলেন ভিনেশ। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালে ওজন মাপতে গিয়েই নেমে আসে বিপর্যয়। দেখা যায় ভিনেশ ফোগাটের ওজন নির্দিষ্ট ওজনের থেকে একশো গ্রাম বেশি। ফলে তাঁকে আর নামতে দেওয়া হয়নি ফাইনালে। তাঁকে পদকও দেওয়া যাবে না। বিশ্ব কুস্তি সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী সবার শেষে শেষ করেন ভিনেশ।
[আরও পড়ুন: মঙ্গলে ভাগ্য নির্ধারণ, প্যারিসের গেমস ভিলেজ ছাড়লেন ভিনেশ, দেশে ফিরবেন কবে?]
এখানেই নিয়মের বড়সড় গরমিল চোখে পড়ছে বিশেষজ্ঞ মহলের।বিশ্ব কুস্তি সংস্থা নিয়মের বিষয়ে যে কড়াকড়ির কথা বলছে, তাদের নিয়মেই কিন্তু গলদ চোখে পড়ছে। ভিনেশ হারিয়েছিলেন জাপানি কুস্তিগির সুসাকিকে। নিয়ম অনুযায়ী, রেপিচেজে লড়বেন সেই কুস্তিগির যে ফাইনালিস্টের (এক্ষেত্রে মার্কিন কুস্তিগির সারা) কাছে হার মেনেছে। কিন্তু সুসাকি তো হেরে গিয়েছেন ভিনেশের কাছে। তাহলে তিনি কীভাবে রেপিচেজে লড়েন? ভিনেশকে যদি শেষ স্থানে রাখা হয়, তাহলে সুসাকিকে তো আর রেপিচেজে রাখা যায় না। এটা তো নিয়মবিরুদ্ধ। সেক্ষেত্রে কিউবার গুজমানের কাছে যে হেরেছেন, তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। কার্যক্ষেত্রে সেটা হয়নি।
বিশ্ব কুস্তি সংস্থা কিন্তু এই নিয়মই প্রযোগ করল। যা ভিনেশের কোর্টেই কার্যত বল ঠেলে দেওয়া। মঙ্গলে ক্রীড়া আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে সবাই। মঙ্গলের রায় যাই হোক না কেন, ভবিষ্যতে আরও উচ্চ আদালতে আবেদন করতেই পারেন ভিনেশ।