সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের দ্রুততম মানুষ তিনি। ছেলেখেলার মতো একের পর এক বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন। আটটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক রয়েছে তাঁর দখলে। গত বছর বিরাট অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন উসেইন বোল্ট। যার পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। অথচ এই আর্থিক ক্ষতির দায় তাঁর ভুলের উপরই চাপাচ্ছিল জামাইকা সরকার। এবার পালটা দিলেন বোল্টের আইনজীবী লিন্টন গর্ডন।
দীর্ঘদিন ধরেই জামাইকার স্টকস ও সিকিউরিটিজ লিমিটেডে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বোল্ট। অথচ গত বছর বুঝতে পারেন, তাঁর বিনিয়োগ করা অধিকাংশ অর্থই খোয়া গিয়েছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খোলেন বোল্ট। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্তা জিন-অ্যান প্যান্টনের বিরুদ্ধে ২০টি প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার আশা প্রায় শূন্য।
এই স্টকস ও সিকিউরিটিজ লিমিটেড জামাইকার দ্বিতীয় প্রাচীন সংস্থা। অথচ আর্থিক প্রতারণায় বোল্টের ক্ষয়ক্ষতির দায় নিতে অস্বীকার করে জামাইকা সরকার। উলটে বলা হচ্ছিল, এর জন্য দায়ী খোদ বোল্টই। এমনকী বিশ্বের প্রাক্তন দ্রুততম ব্যক্তির অধিকাংশ অভিযোগ ভুয়ো। সেই নিয়ে এবার পালটা জামাইকা সরকারকেই দায়ী করলেন বোল্টের আইনজীবী।
গর্ডনের সাফ বক্তব্য, "যে ক্ষতিগ্রস্ত তার উপরই সম্মিলিতভাবে দোষ চাপানো হচ্ছে। যে দেশকে ভালোবাসে, সেই দেশে বিনিয়োগ করে এতবড় অসম্মান সহ্য করতে হচ্ছে। আসলে সরকার প্রতারিত মানুষের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। সেটাই সবচেয়ে বেশি চিন্তার। বহু মানুষ তাঁদের কষ্টার্জিত উপার্জন এখানে বিনিয়োগ করেছিল। অথচ সরকার থেকে সেই টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে কোনও চেষ্টাই নেই।"
