সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক আশা জাগিয়ে আইএসএলের (ISL 2020) ফ্র্যাঞ্চাইজি কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) রিমোট কন্ট্রোল হাতে তুলে নিয়েছিলেন কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuna)। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের মেগাটুর্নামেন্টে ১৮ ম্যাচ যেতে না যেতেই দেওয়াললিখন পড়ে ফেললেন কিবু। কেরালা ব্লাস্টার্সে তিনি পুরনো হয়ে গিয়েছেন গতকালই। হায়দরাবাদের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে প্লে অফে পৌঁছানোর স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় কেরলের। আর ম্যাচের ঠিক পরেই কেরল ম্যানেজমেন্ট কিবুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কিবুকে নিয়ে ৯ জন কোচকে এপর্যন্ত ছাঁটাই করল কেরল ব্লাস্টার্স। এর আগে টানা তিন ম্যাচে হারের জন্য চাকরি যায় বেঙ্গালুরুর স্পেনীয় কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের।
আইএসএলে এহেন বিপর্যয়ের কারণ কী কিবুর? আই লিগে তাঁর হাত ধরেই মোহনবাগান ‘ভারতসেরা’ হয়েছিল। স্পেনীয় কোচের হাতে পড়ে হোসেবা বেইতিয়া, ফ্রান গনজালেজরা মাঠে নেমে ফুল ফুটিয়েছিলেন সবুজ-মেরুনে। ভারতীয় ফুটবলে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলে দেওয়া কিবু আইএসএলের দল কেরল ব্লাস্টার্সের ডাক পান। কিন্তু চলতি টুর্নামেন্টে তাঁর দলের দুর্বল রক্ষণের জন্যই চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হল জুলেন লোপেতেগির বন্ধুকে। ১৮টি ম্যাচে ৩৩টি গোল হজম করতে হয়েছে কেরলকে। এবারের মরসুমে এতগুলো গোল খায়নি কোনও দলই।
[আরও পড়ুন: এক ম্যাচ সাসপেন্ড হতে পারেন বিরাট কোহলি! চাপা উদ্বেগ ভারতীয় শিবিরে]
হায়দরাবাদের কাছে দুরমুশ হওয়ার পরে হতাশ কিবুকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের ফুটবলার বাছাই ঠিক হয়নি। আমরা ট্রেনিং ঠিকঠাকই করেছি। কিন্তু মাঠে নেমে নিজেদের প্রয়োগ করতে পারিনি।” খেলার শেষে প্রশ্ন উঠেছে কেরলের সিনিয়র ডিফেন্ডারদের পারফরম্যান্স নিয়েও। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম দুটো গোলই হজম করতে হয়েছে তাঁদের জন্য। কিবু অবশ্য কাউকে আলাদা করে দোষারোপ করেননি। বলেন, “গোটা মরসুম জুড়েই একই সমস্যায় ভুগতে হল। কেন এমন হল, তা বুঝতে পারলাম না।” দেশীয় প্লেয়াররা নিজেদের কাজটা করে গেলেও বিদেশি প্লেয়াররা হতাশই করেছেন। সেই প্রসঙ্গে কিবু বলেন, “মরশুমের শেষে দল নিয়ে মূল্যায়ণ করা হবে।” নিন্দুকরাও আসামীর কাঠগড়ায় তুলেছেন কেরলের হতশ্রী ডিফেন্সকে। দলগঠন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ফুটবলভক্তরা বলেছেন, দল এত খারাপ হলে কোচকে দুষে লাভ কী।