সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে ইউক্রেনে (Ukraine)। বহু সাধারণ ইউক্রেনীয়র মৃত্যু হয়েছে। দেশ ছেড়েছেন ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তবু বিরাম নেই রুশ হামলার। গত দু’দিনে কয়েক ঘণ্টায় যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হলেও সার্বিক ভাবে রুশ আগ্রাসন কমার কোনও লক্ষণ নেই। এমনকী যুদ্ধবিরতির মাঝেও মৃত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের। এমন যুদ্ধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষরা। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। কেবল রবিবারই এগারোশোরও বেশি মানুষ আটক হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপির সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেদেশের প্রতিবাদী আন্দোলন নজরদারি সংস্থা ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, রবিবার সব মিলিয়ে ৩৫টি শহর থেকে আটক করা হয়েছে ১ হাজার ১০৩ জনকে। এই নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এপর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আটক হলেন রাশিয়ায়।
[আরও পড়ুন: প্রথম টেস্টে হেলায় লঙ্কাজয় ভারতের, কপিল দেবের রেকর্ড ভাঙলেন অশ্বিন]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এরপর পুতিনের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছিলেন রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকরা। দলে দলে মিছিল করে তাঁরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের আটক করা হলেও যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনকে থামানো যায়নি। গত শুক্রবার রাশিয়ার পুলিশের তরফে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও ধরনের যুদ্ধবিরোধী বেআইনি জমায়েত বরদাস্ত করা হবে না। এবং এর জন্য আন্দোলনের আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের এর জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
নিজের দেশেই এমন প্রতিবাদের মুখে পড়ে বেকায়দায় পুতিন। শুক্রবারই তিনি একটি নতুন বিল আনেন। সেই বিলে বলা হয়েছে, রুশ সেনাদের সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের সাজা হতে পারে। পরিস্থিতি সামগ্রিক ভাবে যতই প্রতিকূল হোক, আন্দোলনকারীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: তুমুল অশান্তির মাঝেও IMA’র নির্বাচনে জয়ী নির্মল মাজি, কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের]
এর আগে রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি (Alexei Navalny) পুতিনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে বলেছিলেন, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এবার তিনি সবাইকে বোঝাতে চাইছেন যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ (রাশিয়া) লড়াই শুরু করেছে। কিন্তু এটা সঠিক তথ্য নয়। আমরা এই যুদ্ধকে সমর্থন করি না। রুশ নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন আপনারা মৌন থাকবেন না। পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করুন।” সব মিলিয়ে নিজের দেশেই বেকায়দায় পুতিন।