রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিঘার (Digha) সমুদ্র সৈকতে এবার গরু বা ছাগল চরালেই মালিককে ২০০০ টাকা জরিমানা। শহর দিঘার সৌন্দর্যায়ন রক্ষা করতে এমনই কড়া পদক্ষেপ নিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। শুধু তাই নয়, গরু বা ছাগল আটকে রাখতে অস্থায়ী খোঁয়াড়ও তৈরি করা হচ্ছে। নিয়োগ করা হয়েছে অস্থায়ী কর্মীও।
উন্নয়ন পর্ষদ রীতিমতো মাইক ফুঁকে সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছে সৌন্দর্যায়ন রক্ষায় তাদের এই নতুন পদক্ষেপের কথা। মালিকানাহীন পশুগুলিকেও উন্নয়ন পর্ষদ আটক করে খোঁয়াড়ে রাখবে। পরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস মণ্ডল। তিনি জানান, “যশ বা ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পরে দিঘাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। কিন্তু গরু ছাগল ঢুকে সেইসব সৌন্দর্যায়নের কাজ নষ্ট করে দিচ্ছে। সৈকত শহরকে অপরিচ্ছন্ন করে তুলছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বর্ষশেষে বাড়ল উদ্বেগ, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৫১ জন]
যশ বা ইয়াসের পর দিঘার ক্ষত সামাল দিয়ে নতুন দিঘা থেকে পুরনো দিঘা পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। আর তার টানেই রোজ রোজ বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেও দিঘায় ভিড় জমান বহু পর্যটক। সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতে পরিজনদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে দেখা যায় পর্যটকদের। সন্ধে হওয়ামাত্রই সমুদ্রের পাড়ে নাচ-গানে বর্ষশেষের আনন্দে গা ভাসান তাঁরা। সঙ্গে খাবারদাবারের বন্দোবস্তও ছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে দিঘায় পর্যটনে ভাঁটা পড়েছিল। ঘরের কোণ ছেড়ে বাইরে বেরতেও ভয় পাচ্ছিলেন আমজনতা। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির ভিড় না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আয় তলানিতে ঠেকেছিল হোটেল ব্যবসায়ীদের। তবে পর্যটকের ভিড় বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মীলাভ বেড়েছে তাঁদের। খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ওমিক্রন আতঙ্কে আবারও কি লক্ষ্মীলাভে ভাঁটা পড়বে? দুশ্চিন্তায় প্রায় সকলেই।