বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি : ভরা বসন্তে ধবধবে সাদা তুষার চাদরে মুখ ঢেকেছে পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু হ্রদ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার সকাল থেকে তুষারপাত শুরু হতে সেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকের ঢল নেমেছে। ভারী তুষারপাতের জেরে উঁচু এলাকায় অক্সিজেনের সমস্যাও বেড়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে এবার আগেভাগে সিকিম পুলিশের তরফে প্রতিটি পর্যটকের গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়ে। এদিন ওই বিষয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব সিকিম পুলিশের সদর দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করে প্রতিটি চেকপোস্টে পর্যটকদের গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চেহারার কালো ছোপ দূর করতে পার্লারে ছুটছেন? ভুল করছেন না তো!]
সিকিম পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হালকা বৃষ্টির পর পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়। মার্চের এই সময় সিকিমের সেরা পর্যটন মরশুম হওয়ায় ইতিমধ্যে সেখানে দেশ বিদেশের পর্যটক পৌঁছে গিয়েছে। সকালে তুষারপাতের খবর মিলতে তাদের বেশিরভাগ ছাঙ্গু, নাথু-লামুখী হয়েছেন।
গ্যাংটক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ছাঙ্গু লেকের জল স্বচ্ছ থাকলেও আশপাশের পাহাড় এবং রাস্তাঘাট সবই ছিল তুষার চাদরে মোড়া। তুষারপাত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্তের ১৩ হাজার ফুট উঁচু নাথু-লা পাসে। নাথু-লা পাস ও সোংমো লেকের পাশে বাবা মন্দির বরফে ঢেকেছে। গত বছর এই দিনে ভারী তুষারপাতে আটকে পড়েছিলেন অন্তত চারশো পর্যটক। অক্সিজেনের অভাবে তাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা ওই পর্যটকদের উদ্ধার করে গ্যাংটকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বুধবার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব সিকিম পুলিশের সদর দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভরা পর্যটন মরশুম চলছে। এই সময় পর্যটকদের অনেকেই উঁচু এলাকা ভ্রমণের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে অক্সিজেনের অভাব থাকে। ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেটা যেন না হয় সেজন্য বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিটি পর্যটকের গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার জন্য মোটর ভেহিক্যালস দপ্তরে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে থার্ড মেইল, লিংটাম এবং টুং চেকপোস্টে পুলিশ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে। সিকিম পর্যটন দপ্তরের উপদেষ্টা রাজ বসু জানান, নাথু-লা, বাবা মন্দির ছাড়াও জুলুক, মানখিম, আরিতার, লাম্পোখেরি, নাথাং উপত্যকা এবং তুকলার মতো উঁচু এলাকায় যেতে পর্যটকের গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।