সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সালে টেস্টে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। তার পর কেটে গিয়েছে আরও ১১ বছর। নতুন এক মাইলফলকের সামনে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ( India vs Sri Lanka) বিরুদ্ধে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির অভিষেক টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল শচীন তেণ্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar)। মাস্টার ব্লাস্টারের জায়গায় খেলেছিলেন কোহলি। শততম টেস্টের প্রাক্কালে অনুজ কোহলির ফিটনেসের প্রতি প্যাশনের কথা জানাচ্ছেন অগ্রজ শচীন। ১১ বছর আগের এক ঘটনার স্মৃতিচারণ তিনি করেছেন বিসিসিআই-এর টুইটারে।
[ আরও পড়ুন: বিরাট কোহলির শততম টেস্ট, দ্রাবিড়ের হাত দিয়ে বিশেষ টুপি দেওয়ার ভাবনা বোর্ডের]
ফিটনেস নিয়ে বিরাটের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। নিজেকে ফিট রাখতে খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন এনেছেন কোহলি। সেই কোহলি সম্পর্কে বিসিসিআই-এর পোস্ট করা ভিডিওতে তেণ্ডুলকর ফাঁস করেন সেই সময়ের কথা। বিরাট টিক সেই সময় থেকে ফিটনেস নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। ভিডিওতে লিটল মাস্টার বলেছেন, “আমরা তখন ২০১১ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিলাম। ক্যানবেরাতে একটি থাই রেস্তরাঁ ছিল। আমরা প্রায়ই সেখানে খেতে যেতাম। আমার এখনও মনে আছে একদিন রেস্তরাঁ থেকে ফেরার সময় বিরাট আমাকে বলল,পাজি অনেক হয়ে গিয়েছে। আর নয়। এবার ফিটনেস নিয়ে সচেতন হতে হবে।”
বিরাটের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি বাটার চিকেন খেতে খুবই পছন্দ করতেন। কিন্তু নিজের ফিটনেস বজায় রাখতে তিনি অবলীলায় বাটার চিকেন খাওয়া ছেড়ে দেন। বিসিসিআইয়ের টুইট করা ভিডিওতে তেণ্ডুলকর গর্ব করে বলেছেন, “একথা বলতেই হবে, তুমি কোনও চ্যালেঞ্জই বাদ দাওনি। ফিটনেসের ব্যাপারে তুমি একজন অসাধারণ রোল মডেল।”
ভিডিওটিতে বিরাটকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন শচীন। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপে বিরাটের নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ান হয়। সেই টুর্নামেন্ট চলাকালীনই সতীর্থদের থেকে বিরাটের কথা শোনেন তেণ্ডুলকর। লিটল মাস্টার জানিয়েছেন, “সবাই বলত এই ছেলেটা ভাল ব্যাটিং করে।” তার পর জাতীয় দলে মাস্টারের সঙ্গে একই ড্রেসিং রুম শেয়ার করেন কোহলি। ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পরে সেই মুহূর্ত কে ভুলতে পারেন! ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরে কোহলি এগিয়ে এসে জাতীয় পতাকা শচীনের হাতে তুলে দেন। মাস্টার ব্লাস্টারকে কাঁধে তুলে নিলেন সতীর্থরা। সেই দলে ছিলেন কোহলিও। দেখতে দেখতে অতিক্রান্ত এগারোটা বছর।
মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামে শততম টেস্ট খেলতে নামছেন কোহলি। এই অনন্য নজিরের মুখে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আড়াই বছরের খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরি করেই কি নিজের শততম টেস্ট ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখবেন কোহলি? তাঁকে নিয়ে যে অনন্ত কৌতূহল ক্রিকেটপ্রেমীদের। মোহালির বাইশ গজেই মিলবে সেই উত্তর।