সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতেই ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অন্যতম অভিযোগ, বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার বেচে দেওয়ার। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif ) দাবি করেন, বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার সামগ্রী বিক্রি করে ১৪ কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন ইমরান। এবার এই মামলায় ইমরানের পাওয়া উপহার সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল একটি পাক আদালত। পাক সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি মিয়া গুল হাসান আওরঙ্গজেব এই বিষয়ে দু’টি পিটিশনের শুনানির পর শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নির্দেশ দেন, ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। ওই সময় থেকে গত প্রায় চার বছরে বিদেশি অতিথিদের কাছ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান যত উপহার সামগ্রী পেয়েছেন তার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে দু’টি পিটিশনের একটি দায়ের করেছে বর্তমান পাক মন্ত্রিপরিষদ। অন্যটি একটি জনস্বার্থ মামলা। এদিনের শুনানিতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি বলেন, “এই উপহার বাড়িতে নিয়েও যাওয়ার জিনিস নয়। প্রধানমন্ত্রী আসে যায়, কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দপ্তর বদলায় না।” কিন্তু ইমরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠছে কেন?
[আরও পড়ুন: পুরুষতন্ত্রকে ধাক্কা, পাকিস্তানের নতুন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলারা]
আসলে পাকিস্তানের (Pakistan) নিয়ম মতে, অন্য রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যে উপহার দেওয়া হয়, তা সরকারি তোষাখানায় জমা করতে হয়। কোনও প্রধানমন্ত্রী যদি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে চান তবে বস্তুটির অর্ধেক মূল্য দিয়ে তাঁকে সেটা কিনে নিতে হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে গদি হারানোর পর মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ইমরান। বাকি অর্থ কোথায় গেল, তার স্পষ্ট কোনও হিসাব নেই।
[আরও পড়ুন: করোনাতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সাংহাই! আরও ৪০ লক্ষ মানুষকে ‘মুক্তি’ দিল চিন]
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (FIA)। জানা যাচ্ছে, এফআইএ-র কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি বহুমূল্য হার উপহার পান ইমরান। কিন্তু নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরীতে হেঁটে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর কাছে ১৮ কোটি টাকায় সেই অলঙ্কার বিক্রি করে দেন তিনি। ইমরানের তৎকালীন স্পেশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট জুলফিকর বুখারিকে দিয়ে সেই কাজ করানো হয়।