সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তি আরও বাড়ল ইমরান খানের। বেআইনি বিয়ে মামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। সেই সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেদেশের এক নিম্ন আদালত তা খারিজ করে দিল।
২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল ইমরান-বুশরার। তখনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন ইমরান (Imran Khan)। এই বিয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা। তাঁর দাবি ছিল, যেহেতু তাঁদের বিয়ের বিচ্ছেদের পরে তিন মাস কাটার আগেই ইমরান বুশরাকে বিয়ে করেছেন তাই এই বিয়ে ইসলামের বিধান অনুযায়ী অবৈধ। কেননা ইসলাম ধর্মের নিয়ম হল বিবাহ বিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুর পরে তিন মাস না কাটলে সেই মহিলা বিয়ে করতে পারেন না। এই সময়কালকে বলে 'ইদ্দত'। তবে কেবল ওই অভিযোগই নয়, একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন বুশরার প্রাক্তন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, আইনি বিয়েই হয়নি ইমরান-বুশরার। কেবল লোকদেখানো বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। পাশাপাশি ব্যাভিচারের অভিযোগও আনেন তিনি।
[আরও পড়ুন: NEET প্রশ্নফাঁস দুর্নীতি মানলেন রাষ্ট্রপতি, দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা]
ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই মামলার শুনানি শুরু না হলেও তিনি ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন করে শুরু হয় মামলা। আর সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান ও বুশরা বিবি। তাঁদের সাত বছরের সাজা শোনানো হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এই রায়কে বাতিল করার আর্জি জানিয়েই আবেদন করেছিলেন ইমরান। কিন্তু খারিজ হয়ে গেল তা।
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন ইমরান। হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়। এমনকী জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না তিনি। এই মুহূর্তে জেলেই দিন কাটছে তাঁর। আরও একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়াল আদালতের সাম্প্রতিক রায়। তবে ২ জুলাই এই মামলার আরও একটি শুনানি রয়েছে।