shono
Advertisement

‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ভারত’, তালিবানকে ক্লিনচিট দিয়ে অভিযোগ পাক বিদেশমন্ত্রীর

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা।
Posted: 06:28 PM Jun 18, 2021Updated: 06:28 PM Jun 18, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা। এবার তালিবানকে ক্লিনচিট দিয়ে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ভারতকেই দায়ী করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্যালেস্তাইনকে ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলা’ করোনা টিকা দিচ্ছে ইজরায়েল]

সম্প্রতি আফগান সংবাদ মাধ্যম ‘Tolo News’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার দেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও হিংসার জন্য কে দায়ী? এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তালিবানের জন্যে আফগানিস্তানে হিংসা ছড়াচ্ছে, এই কথা বললে তা বাড়িয়ে বলা হবে। আমি এটা কেন বলছি? কারণ এই পুরো বিষয়টার নেপথ্যে আরও গোষ্ঠী রয়েছে যাঁরা ঝামেলা তৈরি করছে এখানে। আফগানিস্তানে যুদ্ধ হলে, অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকলে কার লাভ? এই গোষ্ঠী শুধু ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে চায়। কেন আফগানিস্তানে ভারতের চারটি দূতাবাস রয়েছে? এখান থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত আফগানিস্তানে এসে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে মনে হয়, ভারতের উপস্থিতি এখানে একটু বেশি। দুই দেশ তো কোনও সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে ভারত।”

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে মার্কিন সেনেটর জ্যাক রিড অভিযোগ তোলেন যে আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবানকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। আফগানিস্তান থেকে এপর্যন্ত অধিকাংশ মার্কিন সেনা সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে সেদেশে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সেনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সঙ্গে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তি হয়েছিল, সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। অবশিষ্ট সেনাদের দ্রুত আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে অনুকূল নয়, তা জানাচ্ছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। এই রিপোর্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। অনেক প্রশাসনিক কর্তাই দাবি করেছেন, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা মেনে আপাতত ওই সেনাদের আফগানিস্তানেই রেখে দেওয়া হোক। পাশাপাশি, আফগানিস্তানে একাধিক প্রকল্পে ভারত জড়িত রয়েছে। মার্কিন সেনা সরে গেলে সেই প্রকল্পগুলি ধাক্কা খাবে বলেই মত অনেকের।

[আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিংসা, কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা পুতিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement