সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ জোগানের দায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদকে সাড়ে ১০ বছরের জেল দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। তারপর থেকে লাহোরের কোট লাখপত জেলে (Kot Lakhpat) থাকার কথা তার। গত সপ্তাহেও সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের অন্য দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে হাফিজ সইদকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, তাই লস্কর প্রধানের জেলেই থাকার কথা। কিন্তু, পাকিস্তানে যে বিচার নামে প্রহসন হয় ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেল। হাফিজ সইদকে জেলের বদলে তার নিজের বাড়িতেই বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)-কে জেলে পাঠানোর নামে গোটা বিশ্বের চোখে ধুলো দিচ্ছে পাকিস্তান। সাজা ঘোষণার পর তাকে ঘটা করে জেলে পাঠানোর কথা প্রকাশ করা হলেও পরে চুপিসাড়ে লস্কর প্রধানকে লাহোরের জোহার শহরে থাকা নিজের বাড়িতেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের সেনা ও সেদেশের গুপ্তচর সংস্থার আইএসআইয়ের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থেকে সমস্ত রকমের জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিক ও জঙ্গি নেতারা তার বাড়িতে গিয়েই আলোচনা করছে। এমনকী পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গিয়ে হাফিজ সইদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে বলেও খবর। জম্মু ও কাশ্মীরে জেহাদি হামলা চালানোর বিষয়েও কথা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার জের, পাকিস্তানের ইমামকে জেলে পাঠাল ফ্রান্স]
গত ১৩ নভেম্বর লস্করের জেহাদ উইংয়ের প্রধান জাকিউর রহমান লাকভি-সহ শীর্ষ জঙ্গিরা ৭০ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে হাফিজ সইদের বাড়িতে যায়। সেখানে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চালানোর পাশাপাশি জঙ্গিদের অনুপ্রাণিত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যার অংশ হিসেবে গতকাল পাকিস্তানের সাহীওয়াল শহরে একটি প্রার্থনাসভার আয়োজন করেছিল লস্কর জঙ্গিরা। যেখানে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় খতম হওয়া ১০ জঙ্গিকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করার অঙ্গীকার নেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে।