shono
Advertisement

বিদেশ থেকে পাওয়া সব উপহার বেচে দিয়েছেন ইমরান! বিরোধীদের অভিযোগে শোরগোল পাকিস্তানে

দুঃসময় আর কাটছে না ইমরানের।
Posted: 04:40 PM Oct 21, 2021Updated: 04:40 PM Oct 21, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) দুঃসময় আর কাটছেই না। বিরোধীদের টানা আক্রমণে কোণঠাসা পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, ইমরান নাকি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি মহার্ঘ্য ঘড়ি, যার মূল্য ১০ লক্ষ ডলার। সেই ঘড়ি-সহ নানা উপহারই বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এমনই অভিযোগে কোণঠাসা ইমরান।

Advertisement

বিভিন্ন সময়ে যখন কোনও রাষ্ট্রনেতা অন্য দেশে সফরে যান, তখন অসংখ্য উপহার পান তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী, সেই সব উপহারই তোষাখানায় জমা থাকার কথা। সাধারণ ভাবে ১০ হাজার টাকার নিচে মূল্য যে সব উপহারের সেগুলি চাইলে অবশ্য তাঁরা সঙ্গে রাখতে পারেন। কিন্তু বাকি সব উপহার তোষাখানাতেই থাকার কথা। কিন্তু ইমরান বিরোধীদের অভিযোগ, সব বেচে দিয়েছেন ইমরান।

[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের গলায় ফাঁস জেহাদিদের, তালিবানের হাতে আক্রান্ত সাংবাদিকরা]

পিএমএল(এন)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়াম নওয়াজ, যিনি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা, তিনি তোপ দেগেছেন ইমরানের বিরুদ্ধে। পাক প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে মারিয়ামের অভিযোগ, ”অন্য দেশের থেকে পাওয়া উপহার সব বিক্রি করে দিয়েছেন ইমরান খান। কী করে একজন মানুষ এমন অসংবেদনশীল, মূক, বধির ও অন্ধ হতে পারেন?” পাকিস্তানের বিরোধী জোট পিডিএম তথা ‘পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’-এর প্রেসিডেন্ট মৌলানা ফজলুর রহমানও পুরো বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে তোপ দেগে বলেছেন, এর মধ্যে রয়েছে একটি বহুমূল্য ঘড়িও যেটিকেও বিক্রি করে দিয়েছেন ইমরান।

এদিকে ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক ড. শাহবাজ গিল এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইমরান সব সময়ই তাঁর উপহারগুলি তোষাখানায় জমা দিতেন। যদি কোনওটি তিনি নিজের কাছে রাখতে মনস্থ করতেন তাহলে সেটির মূল্য দিয়ে দিতেন।

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদের মাইকে সমস্যা, ক্ষমাপ্রার্থী আয়োজক চিন]

গত মাসেই পাকিস্তানের তথ্য কমিশনের তরফে বিদেশ থেকে পাওয়া উপহারের হিসেব চেয়েছিল পাক সরকারের থেকে। কিন্ত ইমরান প্রশাসন অস্বীকার করেছিল বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের তালিকা দিতে। তাদের যুক্তি ছিল, ওই তালিকা প্রকাশিত হলে তা দেশের জাতীয় স্বার্থকে বিঘ্নিত করবে। এবং অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও খারাপ হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement