সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা পাকিস্তানে (Pakistan)। শনিবার সেদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে করাচির বালদিয়া শহরের মাওয়াচ গথ এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে ছ’জন মহিলা এবং চারজন শিশুও রয়েছে।
পাকিস্তানের একাধিক সংবাদসংস্থার তরফে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাতের বেলা আচমকাই মাওয়াচ গথ এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং সন্ত্রাসদমন শাখার আধিকারিকরা। উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় আহতদের। তবে কারা এই ঘটনার পিছনে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সন্দেহ এই ঘটনার পিছনে সন্ত্রাসবাদী কোনও সংগঠনেরই হাত থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন: Taliban Capture Jalalabad: আফগানদের ভিত নাড়িয়ে জালালাবাদও কেড়ে নিল তালিবানরা]
এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান পুলিশের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ইমরান ইয়াকুব বলেন, “এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ না পেলে বোঝা যাবে না। তবে এই ঘটনার পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের থাকার সম্ভাবনাই বেশি।”
অন্যদিকে, সন্ত্রাসদমন সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্রেনেড ছুঁড়েই এই হামলা চালানো হয়েছে। বাইক করে এসে হামলা চালানোর ছক ছিল হামলকারীদের। কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই কোনওভাবে ফেটে যায় বোমাটি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে করাচি জুড়ে। এর আগে গত জুলাই মাসে আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ইমরান খানের দেশ। বাসের মধ্যে আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জন যাত্রীর। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৯ জনই ছিলেন চিনা ইঞ্জিনিয়ার। দাসু বাঁধের নির্মাণকাজে কাজ করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।