সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি সই করেছে চিন (China)। আর শর্ত মতো এবার লালফৌজের সঙ্গে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে পাক সেনার অফিসারদের। প্রতিরক্ষা মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: তালিবানের বিরুদ্ধে ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি আমেরিকার! পেন্টাগনের ইঙ্গিত ঘিরে বাড়ছে গুঞ্জন]
গোয়েন্দা রিপোর্ট মোতাবেক, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং অর্থাৎ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্যের আদানপ্রধান করতে চুক্তি সই করেছে ইসলামাবাদ ও বেজিং। সেই মতো চিনা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড ও সাদার্ন থিয়েটার কমান্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পাক সেনার লিয়াঁজো অফিসারদের যুক্ত করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ভারতের সঙ্গে সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে চিনের ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে চাপে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে চিন। বর্তমানে আফগানিস্তান নিয়ে ব্যস্ত আমেরিকা। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও মধ্য এশিয়ায় তালিবানের উত্থানের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রাশিয়া। ফলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর হয়েছে বেজিং।
গত বছর পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনের সেনা। লড়াইয়ে ভারতের ২০ জওয়ান শহিদ হয়। ক্ষয়ক্ষতি হয় লালফৌজের। যদিও সেই তথ্য প্রকাশ্যে অনেনি বেজিং। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েক দফা কমান্ডার স্তরের আলোচনার পর প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। প্যাংগংয়ের ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে লালফৌজ। ফিঙ্গার ৩ ও ফিঙ্গার ৪-এর মধ্যে ধন সিং থাপা পোস্টে মোতায়েন থাকছে ভারতীয় ফৌজ। কিন্তু তারপরও আবার আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি করছে লালচিন।
উল্লেখ্য, গতকআল বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তে চিনের গতিবিধি উসকানিমূলক। একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল ঘটাতে চাইছে চিনা সেনাবাহিনী। ফলে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়েছেন যে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল ফৌজ মোতায়েন করেছে চিন। ফলে প্রতিরক্ষার স্বার্থে পালটা সৈন্য মজুত রাখতে হয়েছে ভারতকে। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে অরিন্দম বাগচি আরও বলেন যে, নয়াদিল্লি আশা করছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যাগুলি প্রটোকল মেনে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বেজিং।