সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। গিলিগিট-বালটিস্তানের (Gilgit Baltistan) পথে নেমে পড়লেন সেখানকার বাসিন্দারা। শামিল হলেন পাকিস্তান-বিরোধী বিক্ষোভে। জানা গিয়েছে, সেখানে পাক সেনার প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় জনতা। তাঁদের দাবি, তাঁরা পাক সেনাকে কোনও ভাবেই ওই ভূখণ্ড দখল করতে দেবে না।
এই সপ্তাহে গিলগিট ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বারবার পাকিস্তানের সেনা ও রেঞ্জার্স ও ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনীকে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। এই বিক্ষোভের নানা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনও কোনও ভিডিওয় গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দাদের ভারতের পক্ষে স্লোগান তুলতেও দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।
[আরও পড়ুন: উত্তর সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে সেনার ট্রাক, নিহত ১৬ জওয়ান]
উল্লেখ্য, গত আগস্ট থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি নতুন মাত্রা পেয়েছে। আসলে সম্প্রতি পাকিস্তানের (Pakistan) সংবিধানে কিছু সংশোধনের আনার প্রস্তুতি করছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। সেই সংশোধন হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সরাসরি ইসলামাবাদের হাতে চলে যাবে। অর্থাৎ কার্যত পুতুলে পরিণত হবে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে ওই অঞ্চলের স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এটা কিছুতেই হতে দিতে রাজি নয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মী শাবির চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সংবিধানে সংশোধন এনে অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সম্পদ হস্তগত করতে চাইছে পাকিস্তান। পাক সেনার মদতেই এই ‘নগ্ন আগ্রাসন’ ও ‘সাম্রাজ্যবাদী’ কার্যকলাপ চলছে। এর বিরুদ্ধে আম জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন শাবির। আর ইসলামের দোহাই দিয়েই এই সমস্ত কার্যকলাপ চালাচ্ছে পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তানের বিপদ বাড়াচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। দাবি তুলেছেন, পাকিস্তান আর তার দোসর চিনের শোষণ থেকে মুক্তির। এই আন্দোলনের জেরে পাকিস্তানের শাসকদের উপর রীতিমতো চাপ বেড়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। এরই মাঝে স্থানীয় জনতার বিদ্রোহে নতুন মাত্রা পেয়েছে বিক্ষোভ। ফলে চাপে পাক প্রশাসন।