সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমানের মোকাবিলায় চিন থেকে ২৫টি জে-১০সি ফাইটার জেট কিনল পাকিস্তান (Pakistan)। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত রুশ-মার্কিন সম্পর্ক, ফোনে পরস্পরকে হুঁশিয়ারি বাইডেন-পুতিনের]
বুধবার রাওয়ালপিণ্ডিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আহমেদ জানান, চিনের থেকে ২৫ টি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের একটি ফুল স্কোয়াড্রন কেনা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শামিল হবে বিমানগুলি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর হাতে আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। রাফালের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম সেগুলি। কিন্তু তারপরও মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কিনে যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে চাইছে পাকিস্তান। আর এমন সময়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলে ইসলামাবাদের জন্য অস্ত্রের পসরা সাজিয়ে দিয়েছে বেজিং।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয় ঠিক হয়। প্রায় দু’দশক পর নতুন কোনও অত্যাধুনিক বিদেশি যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৯৯৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় এসেছিল রাশিয়ার তৈরি সুখোই যুদ্ধবিমান (Sukhoi Su-30MKI)। যুদ্ধে রাফালে বিমানকে গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই লাদাখের প্রতিকূল আবহাওয়ায় মহড়া দিয়েছে এই বিমান। বিমানটি দশ টন মাল বহন করতে সক্ষম। মাটি থেকে সমুদ্র বা আকাশের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার।
চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ রাফালে রয়েছে ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও দক্ষ রাফালে। সবমিলিয়ে, পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অত্যাধুনিক বিমানটি।