সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান (Pakistan)। নামে গণতান্ত্রিক দেশ হলেও শাসনভার রয়েছে পর্দার নেপথ্যে থাকা কুখ্যাত আইএসআই ও পাক সেনাবাহিনীর হাতে। তাই দেশটি বর্তমানে লস্কর-ই-তইবা, জইস-ই-মহম্মদ ও আল কায়দার মতো জেহাদি সংগঠনগুলির চারণভূমি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুখে যাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে পালটায়নি সেই কথা স্পষ্ট করে এবার ছয় লস্কর জঙ্গিকে মুক্তি দিল সেদেশের আদালত।
[আরও পড়ুন: মার্কিন নৌবহরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন! উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
শনিবার মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের জঙ্গি সংগঠন লস্করের ছয় নেতাকে মুক্তি দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। এর আগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালত। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি জানান, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার পক্ষ। সূত্রের খবর, প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়েছে। ধৃত ওই ছয় জঙ্গিনেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে সক্ষম হলেও অজ্ঞাত কারণে তা আদালতে পেশ করেননি তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি পাকিস্তান। গত মাসে ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ জানিয়ে দেয়, ২০১৮ সালে সন্ত্রাসদমনে যে ২৭টি শর্তপূরণ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan), তার মধ্যে ২৬টি পূরণ করছে ইমরানের দেশ। একটি এখনও বাকি রয়েছে। তাই ধূসর তালিকাতেই থাকতে হবে তাদের। কী সেই শর্ত? জানা যাচ্ছে, সেই একমাত্র না পূরণ হওয়া শর্তটি হল সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা। প্যারিস স্থিত FATF-এর মতে, যা আজও করে উঠতে পারেনি ইসলামাবাদ। তাই ধূসর তালিকা থেকে এবারও বেরনো হল না পাকিস্তানের।
প্রসঙ্গত, অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসে অর্থ জোগান রুখতে নজরদারি করে এফএটিএফ। যাঁরা বিশ্ব সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ বা সন্ত্রাসে মদত জোগায়, এমন রাষ্ট্রগুলিকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে তারা। যার জেরে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আর্থিক সাহায্য বা ঋণ পেতে সমস্যায় পড়ে সেই রাষ্ট্রগুলি। পাকিস্তান ছাড়াও সংস্থাটির ধূসর তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, মালি ও জর্ডনের মতো দেশ।