সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসক-বিরোধী সংঘাতে উত্তাল পাকিস্তানের রাজনীতি। বুধবার, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে (Nawaz Sharif) ‘ঘোষিত অপরাধী; তকমা দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। এর ফলে পাকিস্তানে ফিরলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিরোধী দলনেতারা। এর নেপথ্যে শাসকদলের হাত রয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: OMG! পাকিস্তানের মদের বোতলে জিন্নার নাম! নিমেষে ভাইরাল ছবি]
বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। দু’টি দুর্নীতি মমলায় তাঁকে বারবার সমন পাঠানো হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারপরই তাঁকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে দেগে দেয় বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। আদালত সূত্রে খবর, আল-আজিজিয়া ও অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায়ের বিরোধিতা করে, শরিফের তরফে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। যথারীতি শরিফ গরহাজির ছিলেন। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ।
ইমরান খান প্রশাসনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল যে বিদেশ দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নওয়াজ শরিফকে আদালতের সমন নিয়ে অবগত করা হয়েছিল। লন্ডনে তিনি যেখানে রয়েছেন, সেখানে আদালতের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি, শরিফের লাহোরের বাসভবনেও আদালতের সমন গিয়েছিল। উল্লেখ্য, বর্তমান ও প্রাক্তন দুই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিবাদে সরগরম পাকিস্তানের (Pakistan) জাতীয় রাজনীতি। এর আগে গত আগস্টেই নওয়াজ শরিফকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশে না ফেরায় তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। ৭০ বছরের নওয়াজ শরিফ দেশের রাজনীতিতে সেনার জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী ও আইএসআই নেতৃত্ব— সবেতেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি।