সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পাকিস্তানে (Pakistan)। জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান ছাড়াও ওই গোষ্ঠীর আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে গুজরানওয়ালার আদালত। FATF (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া পাকিস্তান। ২১ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সংস্থার বৈঠক রয়েছে। সেখানে ফের পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তার ঠিক আগে নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতেই ইসলামাবাদের তরফে এমন সিদ্ধান্ত কিনা, তা নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।
দীর্ঘদিন আজহারের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান। চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় পরে তারা মানতে বাধ্য হয় রাষ্ট্রসংঘে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া ওই জঙ্গি নেতা তাদের দেশেই রয়েছে। যদিও ঠিক কোথায় ঘাপটি মেরে আছে আজহার, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। গত মাসে ‘সানডে গার্ডিয়ান’ পত্রিকার দেওয়া খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে আইএসআই-এর আশ্রয়েই রয়েছে সে। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মতো দেশের বহু জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল আজহার।
[আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিলের বিক্ষোভে উড়ল ভারতীয় পতাকা! ভাইরাল ভিডিও দেখে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা]
২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের। পরে করোনার কারণে ডেডলাইন বাড়ানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আগেই জানা গিয়েছিল, ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে অধিকাংশই মেনে চললেও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার বিষয়ে অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করতে পারেনি পাক সরকার। স্বভাবতই সেই কারণেই ধূসর তালিকা থেকে মুক্তিও মেলেনি। পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, এই তালিকা থেকে বেরতে হলে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে।
গত নভেম্বরে শীর্ষ পাক গোয়েন্দা সংস্থা FIA দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। কয়েকদিন আগেই মুম্বই হামলার মূলচক্রী জাকিউর রহমান লাকভিকে গ্রেপ্তার করার পরে এবার আজহারের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থেকে পরিষ্কার, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ধূসর তালিকা থেকে বেরতে কতটা মরিয়া ইসলামাবাদ।