সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা সর্বজনবিদিত।বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনা আকছার ঘটছে। এবার এমনই এক মামলায় পাকিস্তানের ইতিহাসে বেনজির রায় দিল আদালত। ওই বিয়ে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন বিচারপতি। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রশাসনকে নির্দেশও এন তিনি।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সিন্ধ প্রদেশের জেকোবাবাদ শহর থেকে মেহেক কুমারি নামে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। আলি রাজা সোলাঙ্গি নামের এক ব্যক্তি তাকে জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে এবং বিয়েও করে। তারপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান মেহেকের বাবা বিজয় কুমার। তিনি নিজের মেয়ের বয়স ১৫ বলে জানান। কয়েকদিন আগে মামলাটি অন্য একটি আদালতে উঠলে, মেহেককে মহিলা নিরাপত্তা সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তার প্রকৃত বয়স জানতে চান্দকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সমস্ত রিপোর্ট হতে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ওই বিয়ে অবৈধ বলে ঘোষণা করে আদালত।
কয়েকদিন আগেই শুনানি চলাকালীন আদালতে মেহেক জানিয়েছিল, সে ইসলাম গ্রহণ করতে চায় না। এবং সে কাউকে স্বেচ্ছায় বিয়েও করেনি। মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আরজিও জানিয়েছিল ওই নাবালিকা। এদিকে, রায়দান চলাকালীন কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় আদালত চত্বর। সেখানে মুসলিম ও হিন্দু দুই সম্প্রদায়ের নেতারই উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। উল্লেখ্য, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও ৩৭০ ধারা নিয়ে গলা ফাটালেও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নিরব ইমরান খানের সরকার। অভিযোগ, শুধু হিন্দু নয়, বহু শিখ কিশোরী ও তরুণীকেও অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে ওই দেশে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারতের দাবড়ানি খেয়ে পাকিস্তান ছুটলেন ব্রিটিশ সাংসদ]
The post পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে, বাতিল করল আদালত appeared first on Sangbad Pratidin.