সুকুমার সরকর, ঢাকা: আচমকা বাংলাদেশে হাজির পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। বুধবার আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। বিশ্লেষকদের মতে, পতাকা বিতর্কে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই বিলাওয়ালের এই হঠাৎ সফর।
জানা গিয়েছে, বুধবার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান বিলাওয়াল ভুট্টো। আবদুল মোমেনের উদ্দেশে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়, আমি আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ শান্তি এবং বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়াকে নাস্তানাবুদ করেছে ‘বায়রাক্তার’, এবার তুরস্কের এই ঘাতক অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ!]
আজ বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ায় দু’দিনব্যাপী আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ২৯তম মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আটটি মুসলিম দেশের অর্থনৈতিক জোট ‘ডি-এইট’-এর সম্মেলন। এতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ইসলামাবাদ ডি-এইট সম্মেলনে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেন হিনা। সফর বাতিলের বিষয়ে কূটনৈতিকরা বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন ফেসবুকে যে ছবি প্রকাশ করেছিল, এতে ঢাকার প্রতিক্রিয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদের। যা হয়তো ভালোভাবে নেয়নি ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেখা যায়, কভার ফটোয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা (National Flag) নিয়ে তৈরি একটি নতুন পতাকা। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকাকে এক করে প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম- সর্বত্র বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিশ্লেষকরা বলেন, এটি পতাকাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।