সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইডেনে কোরান (Quran) পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করল পাকিস্তান (Pakistan)। প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশভর প্রতিবাদ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছে শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। তার আগে বৃহস্পতিবার পাক সংসদে একটি যৌথ অধিবেশনও হবে। সেখানেই এই বিষয়ে জাতীয় নীতি কী হবে তা নির্ধারণ করবে পাক সরকার।
প্রসঙ্গত, সুইডেনের (Sweden) রাজধানী স্টকহোমে (Stockholm) কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্ঠাগুলিকে মাড়িয়েও দেন। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার মুখে পড়েছে সুইডেন। এবার কড়া পদক্ষেপের কথা জানাল পাকিস্তানও।
[আরও পড়ুন: আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাবের অভিযোগ, মধ্যরাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ‘বিজেপি কর্মী’]
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সমস্ত দলকে ‘ইয়াউম-ই-তাকাদ্দুস-ই-কোরান’ ও দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছেন শাহবাজ। তিনি যে বিবৃতি পেশ করেছেন, সেখানে দাবি করেছেন পবিত্র কোরানের প্রতি বিশ্বাস সমস্ত মুসলমানকে একত্রিত করে। তাঁর মতে, ভ্রান্ত মন ইসলামোফোবিয়া ছড়াতেই এমন অশুভ কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন।
আগেই এই ঘটনায় ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওপেকের (OPEC) তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। জেড্ডায় সদর দপ্তরে সদস্য দেশগুলিকে জরুরি বৈঠকে ডাকা হয়। আগামী দিনে যেন এহেন ঘটনা আর না ঘটে, সেই জন্য সকলকে একজোট হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক। এরপরই এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করে সুইডেন সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “কোরান বা অন্য কোনও ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়ার অর্থ তাকে অসম্মান করা। মুসলিম বিদ্বেষী এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সুইডেন বা ইউরোপের কোথাও এমন জাতিবিদ্বেষী ঘটনার কোনও স্থান নেই। স্টকহোম মসজিদের সামনে যা ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে সুইডেন সরকারের আদর্শের কোনও মিল নেই।”