সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান (Pakistan)। সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযানের সময় আমেরিকার টাকায় মুজাহিদ তৈরি করেছিল আইএসআই। তারপর ‘ভারতপন্থী’ মুজাহিদদের শিক্ষা দিতে তালিবান তৈরি করে দেশটি। ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে আফগানভূমে মার্কিন ‘মিত্রজোটে’ নাম লেখালেও গোড়া থেকেই তালিবানকে মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ। সেই সত্য স্বীকার করে এবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মার্কিন সেনেটর রবার্ট মেনেনডেজ।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে হাইতিতে মৃত অন্তত ৫০, মৃত্যুপুরী গোটা এলাকা]
মার্কিন সেনেটের ‘ফরেন রিলেশন কমিটি’র চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেনডেজ বলেন, “মার্কিন সেনার হত্যাকারী তালিবানদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা বলা উচিত।” বিশ্বের সামনে ইসলামাবাদের মুখোশ খুলে তিনি আরও বলেন, “আমি কমিটিকে আগেও জানিয়েছি যে আফগানিস্তানে মার্কিন বিপর্যয়ের নেপথ্যে কিছুটা হলেও পাকিস্তানের দ্বিচারিতা রয়েছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, কাবুল থেকে মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ার পর সেদেশে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান ফইজ হামিদের সফর ঘিরে জল্পনা হয়। আফগান তালিবানের অন্যতম শক্তিশালী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক যে আসলে রাওয়ালপিণ্ডির ইশারায় চলছে সেই কথাও অজানা নয়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কাবুল দখল করেই পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ঘর বলে জানিয়েছিল তালিবান। তারপর সরকার গঠন নিয়ে জেহাদি গোষ্ঠীটির অভ্যন্তরীণ কলহ মেটাতে আইএসআই প্রধান ফইজ হামিদের কাবুল সফল আমেরিকা ও ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। প্রসঙ্গত, ভারত ও আমেরিকার উদ্বেগের পারদ চড়িয়ে চিনেই ভরসা রাখছে তালিবান (Taliban)। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনে চিন বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। তাই আপাতত পাকিস্তানকে চাপ দিলেও সম্পর্ক ছিন্ন করবে না আমেরিকা বলেই মত বিশ্লেষকদের।