সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্যতই ‘ভিখারির দশা’ পাকিস্তানের (Pakistan)। ধুঁকছে সেদেশের অর্থনীতি। কী করে পরিস্থিতি সামাল দেবে ভেবে পাচ্ছে না প্রশাসন। এহেন অবস্থায় বিদ্যুতে বাড়তি মাশুল চাপাল শাহবাজ সরকার। উদ্দেশ্য, বেশি রাজস্ব আদায় করে কোষাগারের সম্পদ বৃদ্ধি।
এত পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১ জুলাই থেকে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে ৩ টাকা ২৩ পয়সা অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে গ্রাহকদের। শরিফ প্রশাসনের লক্ষ্য আগামী অর্থবর্ষের আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে ৩৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন। জমে থাকা ঋণ পরিশোধ করতেই এমন পরিকল্পনা। আর তারই ফলশ্রুতি আমজনতার উপরে বাড়তি মাশুলের বোঝা চাপানো।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁদের সঙ্গে যাব না,মানুষের জোট হবে’, লোকসভায় বাম-কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ মমতা]
কেবল এটুকুই নয়। রাত আটটার পরে বিদ্যুতের জন্য দ্বিগুণ দাম দিতে হবে, এই পরিকল্পনাও করা হয়েছে। শিগগিরি ক্যাবিনেটে বিষয়টি পেশ করা হবে। যদি শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপও করা হয়, তাহলে যে সাধারণ জনতাকে বিদ্যুতের খরচ দিতে আরও বেকায়দায় পড়তে হবে তা নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ইসলামাবাদের এই খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ চিন (China)। তাদের তরফে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এদিকে দীর্ঘ আলোচনার শেষে কঠিন শর্তের বিনিময়ে আইএমএফের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। তারপরেই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির শর্ত মেনে মঙ্গলবার নতুন বিল পাশ হয় পাক সংসদে। এতে কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ফলে আমজনতার উপর করের বোঝা বিপুল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ পাক জনতার অবস্থা তথৈবচ।