সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার অভিনন্দন বর্তমানকে (Abhinandan Varthaman ) ‘বীর চক্রে’ ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের এফ-১৬ (F-16) যুদ্ধবিমানকে গুলি করে অবতরণ করান তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্র’ সম্মানে ভূষিত করা হয়।বুধবার অভিনন্দন বর্তমানের এই স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে কটূক্তি করল পাকিস্তান (Pakistan)।
সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে ভারত বারবার অভিযোগ করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে থাকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-বিরোধী পালটা প্রচার চালানোই পাকিস্তানের কূটনৈতিক কৌশল। বুধবার সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখল ইসলামাবাদ (Islamabad)। অভিনন্দন বর্তমানের ‘বীর চক্র’ পাওয়াকে উপহাস করল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানের কটাক্ষ, একটি প্রহসনের উপর ভিত্তি করে অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ বীরত্বের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার সঙ্গে ‘ঠান্ডা লড়াই’ রুখতে চেয়ে বার্তা চিনা রাষ্ট্রদূতের]
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারতের মিথ্যাচার ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। কল্পিত ঘটনার উপর বীরত্বের সম্মান দেওয়া সেনা অনুশাসনের মধ্যে পড়ে না। এমন সম্মান দেওয়া আসলে হাস্যকর একটি উদাহরণ। ভারতের ভুয়ো গল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনও প্রভাব ফেলবে না।”
[আরও পড়ুন: টিভি সিরিয়ালে অভিনয় নয়, মহিলা সাংবাদিকদের হিজাব পরার নির্দেশ তালিবানের]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জম্মু থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে সেনাদের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় জইশ জঙ্গি গোষ্ঠী। ওই বিস্ফোরণে শহিদ হন ৪০ জনের বেশি জওয়ান। ১২ দিনের মাথায় আকাশপথে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জইশদের জঙ্গিঘাঁটিতে পালটা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ধ্বংস করে দেয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি।এরপর আকাশপথে ভারতে ঢুকে পালটা হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমান এফ-১৬। যদিও ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি। বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন মিগ-২০০ নিয়ে পাক যুদ্ধবিমানটিকে ধাওয়া করে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েন এবং গুলি করে নামান পাকিস্তানি এফ-১৬ বিমানটিকে।
এই ঘটনার পরেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ায় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে বন্দি করে সে দেশের প্রশাসন। এদিকে অভিনন্দনের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয় ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘও। অবশেষে কূটনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। মুক্তি দেওয়া হয় অভিনন্দন বর্তমানকে।