সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থের অভাবে ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। নিজের পেটই ঠিকমতো চালাতে পারেন না। মেয়ের খাবারের খরচ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়ে। চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারার কারণে এই চরম পথ বেছে নেন বাবা। তাই এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে দুধের শিশুকে খুন করেন তিনি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনা পাকিস্তানের। এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে সেদেশ। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের থারুশাহ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তের নাম তায়াব। পুলিশের কাছে নিজেই ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। জেরার মুখে পুলিশকে তায়াব জানান, সন্তানকে প্রথমে তিনি জীবন্ত অবস্থাতেই একটি বস্তায় ভরেছিলেন। তার পর মাটি খুঁড়ে সেই বস্তা পুঁতে দেন।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের বলি শৈশব! ইউক্রেনের শিশু হাসপাতালে হামলা রাশিয়ার, নিহত অন্তত ২৪]
পুলিশকে তায়াব আরও জানান, অর্থের অভাবে তাঁর নিজেরই পেট চলে না। সন্তানকে কোনও রকমে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তাঁর একরত্তি শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে। খরচের পরিমাণও বেশ ভালোই। এই শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তায়াবের। এর পরেই মেয়েকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এই ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। কোর্ট নির্দেশ দিলেই ওই শিশুর কবর খুঁড়ে তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।